মিনহাজ উদ্দীন
ছবিতে দেখছেন ভারতের বিখ্যাত সুরকার এ,আর রহমান এবং তাঁর মেয়ে খাদিজাকে।রহমানের টুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা ২১ মিলিয়ন।ফেসবুকে তার পেইজের ফলোয়ার ২২ মিলিয়ন।ইন্ডিয়া সহ সারা বিশ্বের সেলিব্রেটিদের মধ্যে টুইটার এবং ফেসবুকে ফলোয়ার বিবেচনায় যার অবস্থান ২৩ নাম্বারে।
একবার চিন্তা করে দেখুন তার মেয়ে কিভাবে হিজাব এবং নিকাব ব্যাবহার করে স্টেজে এসেছে! এবং এটাই অনেক সো-কলড আধুনিক ইন্ডিয়ানদের সহ্য হচ্ছে না।
এ. আর রহমানের মেয়ের এই হিজাব এবং নিকাব দেখে ইন্ডিয়ার অনেকেই সমালোচনা করছে।অনেকে ২১ শতাব্দীতে এসে এভাবে একজন আধুনিক মেয়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছে তা নিয়ে হাসাহাসি করে টুইটারে ট্রল করছে।
এসব সমালোচনার জবাব দিয়ে বাবা রহমান তার মেয়ে খাজিদার পাশে দাঁড়িয়েছেন শক্তভাবে।তিনি মেয়ের এই পোশাক কে তার লাইফ তার চয়েজ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
এ ব্যাপারে খাদিজা তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, 'সম্প্রতি আমার বাবার সাথে একটি প্রোগ্রামে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমার পোশাক দেখে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।অনেকে মন্তব্য করেছে আমার বাবা আমাকে বাধ্য করছে এমন পোশাক পরিধান করতে।আমি উনাদের জানাতে চাই, আমার মা-বাবা আমাকে এসব ব্যাপারে বাধ্য করে নাই। যেহেতু জীবনটা আমার, তাই আমার শরীরে কি পোশাক থাকবে তা চয়েজ করবার একমাত্র অধিকার ও আমার। তাই, আমি আমার জন্য এই পোশাককে বেছে নিয়েছি।'
ভাবতে অবাক লাগে এখনো এই উপমহাদেশে বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশে মেয়েরা হিজাব অথবা নিকাব ব্যাবহার করলে প্রতিনিয়ত সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়।কেউ তাকে নিনজা বলে ট্রল করে।কেউ তাকে সিন্দুক নামে সন্মোধন করে।
বিকিনি আর শর্ট পিসের জামা পরিধান করা একজন নারীর জন্য ফ্রিডম টু চয়েজ হয়ে থাকলে, নিকাব পরিধান কেন একজন নারীর ফ্রিডম টু চয়েজের ভিতরে অন্তর্ভূক্ত হয় না?
হলিউডের নায়িকা এঞ্জেলিনা জোলি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করতে এসে মাথায় কাপড় দিলে আমরা বাহাবা দিতে জানি।কিন্তু হিজাব-নিকাব করে নিজ দেশেই সমালোচনার শিকার মেয়দের পাশে কেন আমরা শক্তভাবে দাঁড়াই না?
আরআর