মুহাম্মদ আফসার
আল্লাহ তায়ালা কাকে দিয়ে তার দ্বীনের খেদমত নেবেন বুঝা দায়। আমি আপনি সারাদিন বসে বসে কত চিন্তা করি। দিন শেষে সব অর্থব।
আজ এক মাদরাসায় গেলাম। মাদরাসার জায়গাদাতা, প্রতিষ্ঠাতা এবং নিয়মিত অর্থদাতা একজন ভ্যান চালক। তিনি ঢাকায় রামপুরা টু বাড্ডায় ভ্যান চালান। কত নিখুঁতভাবে গড়ে তুলেছেন তিনি এই মাদরাসা দেখে অবাক হলাম।
প্রতিটি পেরেকে তার হাতের ছোঁয়া। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা কুরআন পড়ছে। ইখলাস ও লিল্লাহিয়্যাত মানুষকে কোথায় নিতে পারে তার উদাহরণ হতে পারে ভ্যান চালক এই ভাইটি।
তার এই কাজ দেখে নিজেকে খুব অসহায় মনে হলো। দ্বীনের জন্য কিছু একটা করছি নিমিষেই এই অহংবোধ মাটি হয়ে গেল। আল্লাহ মহান।
আমরা কাজ শুরু করার আগে কত প্ল্যান করি। এই লাগবে সেই লাগবে। কোটি টাকা লাগবে। হাই ইডুকেটেট লাগবে। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে। কিন্তু একবারও চিন্তা করিনা সবচে বড় যেটা লাগবে সেটা হলো ইখলাস। এটা এক আজব বিষয়।
আপনি কবে নাগাদ প্রতিষ্ঠিত হবেন আর বাড়তি উপার্জন নিয়ে দ্বীন প্রচারে নেমে যাবেন। এটা মরিচিকার মতো স্বপ্ন। এ স্বপ্ন আপনাকে একটা আশায় ঘুরাবে। শেষে দেখা যাবে আপনার দ্বারা কোন খেদমত হয়নি। আল্লাহ নেননি।
এজন্য এখনি যুক্ত করতে হবে নিজেকে কোন মসজিদ, মাদরাসা, নৈশ মাদরাসা, দাওয়া সেন্টার অথবা সকালের মকতবে। এটা আপনার বাকি কাজ জীবন্ত রাখবে।
একটা সাধারণ মাদরাসা। ফজরের পর কতগুলো জন্নাতি শিশু নিয়ে বসে আছি। ওদের পড়াচ্ছি আলিফ, বা, অথবা সামিআল্লাহু লিমান হামিদা, রাব্বানা লাকাল হামদ। আল্লাহ দ্রুত তাওফকি দাও।
লেখকের ফেসবুক ওয়াল থেকে