আওয়ার ইসলাম: নারীশিক্ষা নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যের কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু সোমবার যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পড়ানোর জন্য আহমদ শফীর নারী শিক্ষাবিরোধী বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, আহমদ শফী নারীবিদ্বেষী, স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী। এই ফতোয়াবাজ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, তিনি ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মনগড়া ফতোয়া দিয়ে দেশ ও সমাজকে আলো থেকে অন্ধকারে নিতে চান। তার এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান নেতারা।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফীর সমালোচনা করেন। তিনি ওই বক্তব্যের নিন্দা জানান এবং তিনি হতবাক হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন।
এতদিন ইসলামপন্থীদের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করা এই নেতাদের হুট করে ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান হতবাক করেছে ইসলামপন্থীদের। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে যুক্ত ইসলামি রাজনীতিকদের প্রতিও উঠেছে তীব্র সমালোচনা।
ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এক সময়ের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও লেখক সাইমুম সাদী উভয়ের সমালোচনা করেন। তিনি লিখেন-
ড. কামাল হোসেন আল্লমা আহমদ শফীর বিচার চেয়েছেন। মেসেজটা ক্লিয়ার, তিনি ইলেকশনে ক্ষমতায় যদি আসতেন তাহলে আল্লামা শফী সাহেবকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেন।
অবশ্য মির্জা ফখরুল শুধু তখন নিন্দা জানিয়েই দায়িত্ব পালন করতেন নাকি বিচারেও সাপোর্ট দিতেন ক্লিয়ার কিছু কন নাই।
বিএনপির যে অংশটা নামাজ কালাম করে ধর্ম পালন করে তারা বিস্ময়ে হতবাক। অবাক চোখে দেখছে তাদের নেতাদের, কিভাবে উনারা একটা দলকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বামপন্থার দিকে।
আপনি সারাদিন আল্লামা শফী বলতে মহব্বতে অজ্ঞান হয়ে যান, কেউ কেউ খলিফা বলেও দাবি করেন কিন্তু মির্জা ফখরুল আর ড. কামালের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন, আপনার জন্য মাত্র এক বালতি আফসোস।
ভাই আমি গরীব মানুষ, তাই মাত্র এক বালতি দিলাম।
শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বিরুলিয়া, সাভার, ঢাকার পরিচালক মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী বলেন, ইসলামী দলগুলোকে এখনই ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয়া উচিত।
মুফতি আলমগীর হোসাইন লিখেছেন, এবার জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা ড. কামাল আল্লামা আহমদ শফী’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
সময় যত ঘনিয়ে আসছে! আল্লাহ মুনাফেকদের আসল চরিত্র উন্মোচন করে দিচ্ছেন! কতই না উত্তম হতো! যদি আমাদের উলামাগণ তাদের চিনতে পারতো!
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শত্রু-মিত্র চেনার তাওফিক দান করুন। আমীন।
এম এম জহিরুল ইসলাম বলেছেন, আল্লামা আহমদ শফী সাহেবর বিরুদ্ধে কথা বলার যোগ্যতা ড.কামাল ও মির্জা ফখরুলের নেই।
আহমদ শফী হুজুরের ভাষা বুঝতে যেই শিক্ষার প্রয়োজন সেই শিক্ষাও তাদের নেই। গত দিনগুলোতে আমার ধারণা ছিল মির্জা ফখরুল একজন আদর্শবান ভদ্র মানুষ ! কিন্তু আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের সমালোচনা করে মিডিয়াতে বিবৃতি পাঠানোর দ্বারা আমার এ ধারণা মাটির সাথে মিশে গেছে। মির্জা ফখরুল আর মির্জাফরেরা মূলত একই বৃক্ষের ফল।
জামায়াতের চক্রান্তে পরে হক্কানী ওলামায়ে কেরামদের সাথে প্রতারণা করে বিএনপি আজ একঘরে! আহমদ সফি হুজুরের সাথে বেয়াদবি করার অপরাধে অতি সহসাই এই দলটি ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবে ইনশাআল্লাহ।