আওয়ার ইসলাম: শীতে জমে আছে দেশ। সেই সাথে বাড়ছে শীতের রোগে আক্রন্ত রোগীদের সংখ্যা। শীতের প্রধান রোগ সর্দি কাশি এবং ঠান্ডা লাগা (সর্দি কাশি এবং নাক দিয়ে পানি পড়া )।
এ রোগগুলি শীতের সময় মানুষকে বেশী আক্রন্ত করে, কেন করে সে বিষয়ে এখনও গবেষনা চলছে। এটি সাধারনত ভাইরাস দিয়ে হয় ( ফ্লু ভাইরাস ) এবং ৩ থেকে ৭ দিনের ভেতর নিজে থেকেই কমে যায়।
রোগটি খুব দ্রুত ছড়ায়। রোগীর হাচি, কাশি , লালা থেকে এবং রোগীর ব্যাবহার করা জিনিসপত্র থেকে রোগটি ছড়ায়। ভাইরাস শরীরে ঢোকার ২ থেকে ৩ দিন পর রোগের লক্ষন দেখা যায়।
রোগটি হলে সর্দি কাশি এবং জ্বর ( ১০০ -১০২ ডিগ্রী) হতে পারে।
রোগটি হলে প্রচুর তরল ( পানি, জুস, সুপ ইত্যাদি ) পান করতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। যথেষ্ট পরিমানে পুষ্টকির খাবার খেতে হবে। নাক বন্ধ থাকলে গরম পানির ভাপ নিতে হবে। গলা ব্যথায় গরম পানির গার্গল করতে হবে। জ্বর ( ১০০ -১০২ ডিগ্রী) হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জিন্ক ট্যাবলেট খেলে দ্রুত রোগমুক্তি ঘটে।
রোগটির সাথে অতিমাত্রায় জ্বর (১০২ ডিগ্রীর বেশী ) , শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যাথা এবং ঘাড় বা গলায় টনসিলের মত ফুলে গেলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
রোগ প্রতিরোধের জন্য রোগের সংস্পর্শে আসলে হাত ধুতে হবে, রোগীর চাদর বালিশ তোয়ালা রুমাল আলাদা রাখতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং অতিমাত্রায় জ্বর (১০২ ডিগ্রীর বেশী ) , শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যাথা এবং ঘাড়, মুখ বা গলায় ফুলে গেলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।-পরামর্শে ডা: শাহরিয়ার
এইচএএম