আওয়ার ইসলাম: শীতকালে নানান রোগ হয়। এর মধ্যে স্কেবিস নামক রোগটির কথা আমাদের অনেকেরই জানা। বাংলায় এটি খুজলি-পাঁচড়া নামে বেশি পরিচিত। এ রোগের সঙ্গে যদিও সরাসরি শীতের বা বাতাসের আর্দ্রতার কোনো সম্পর্কের কথা জানা যায় না, তবু দেখা গেছে, এ রোগটি শীত এলেই ব্যাপক আকারে দেখা দেয় দিয়ে থাকে।
বিশেষ করে শিশুদের এ রোগে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এর কারণ হতে পারে শীতকালে যেহেতু এক বিছানায় একত্রে অনেক মানুষ চাপাচাপি করে ঘুমাতে হয়, সে কারণে রোগটি এ সময় ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হয়ে থাকে।
এ রোগ আমাদের দেশের গরিব শ্রেণির মধ্যে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেসব শিশু স্কুলে যায়, তারাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি একটি জীবাণুবাহিত রোগ।
যে কীটটি দিয়ে এ রোগটি হয়, তার নাম হলো স্কেবিয়াইসারকপটিস স্কেরিবাই। এ ক্ষেত্রে শরীরে অসম্ভব রকম চুলকানি হতে দেখা যায় এবং রাতের বেলা চুলকানির তীব্রতা আরও বাড়ে।
রোগটি খুব সাধারণ হলেও চিকিৎসায় দেরি হলে, রোগী এমন অবস্থা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন যে, ভালো অভিজ্ঞতা না থাকলে অনেকেই ভুল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
এ ক্ষেত্রে সাধারণত ঘরের একাধিক ব্যক্তি এ রোগে ভোগেন। ফলে ঘরের সবাইকে এ রোগের চিকিৎসা একসঙ্গে করাতে হয়, নয়তো ভালো হয়ে এ রোগ আবার তার দেহে দেখা দেয়।
এ ছাড়া কিছু কিছু রোগ আছে যেমন-হাম ও চিকেন পক্স। এগুলোর সঙ্গে আমরা খুবই পরিচিত। এগুলো ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। লক্ষ করলে দেখতে পারেন, এগুলোও শীতকালেই বেশি হয়।
প্রতিকার করতে কয়েকটি পদ্ধতি ঘরে বসেই দেখে নিতে পারেন
১। রসুন
রসুন শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট যা সত্যিকার ভাবেই মাইটকে অপসারণ করতে পারে। রসুন সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। রসুন মাইট দমন করে ও ত্বকে এর কাজকে প্রতিহত করে। ক্রমাগত রসুন লাগানো ও খাওয়ার ফলে স্ক্যাবিস নিরাময় অত্যন্ত কার্যকরী ভাবে হয়।
রসুন থেঁতলে রস বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। আভ্যন্তরীণভাবে নিরাময়ের জন্য প্রতিদিন ৩-৪ কোয়া রসুন খান। ৩দিন আক্রান্ত স্থানে রসুন লাগানোর পর ২ দিন বিরতি দিন।তারপর আবার লাগান। কারণ ক্রমাগত রসুন ব্যবহার ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে।
২। নিমপাতার মাধ্যমেও সেরে যেতে পারে
স্ক্যাবিস নিরাময়ে নিমপাতা ব্যবহার করা যায়। কারণ নিমপাতায় ছত্রাকনাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে। হামানদিস্তায় একমুঠো নিমপাতা নিয়ে ভালো করে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানটি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পেস্টটি লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য নিয়মিত এটি করুন। এক কাপ পানিতে কয়েকটি নিমপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর মিশ্রণটি ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিয়ে এক চামুচ করে দিনে ৩/৪ বার পান করুন। এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ এভাবে পান করুন মাইট ও চুলকানি পুরোপুরি দূর হওয়ার জন্য।
৩। অ্যালোভেরা
এই শীতল জেল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট। যা ত্বকের নিরাময় ও পুনরুজ্জীবনের জন্য কাজ করে। এটি ত্বকের উপরিভাগের মাইট অপসারণ করতে পারে। তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
এ ঘন জেল মাইটের কার্যকারিতাকে বন্ধ করে এবং তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে। ইনফেকশন দূর করার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও কাজ করে অ্যালোভেরা জেল।
-এটি