সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

ইসলামি আন্দোলনের ইশতেহারে ‘ইসলাম’ নেই!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পলাশ রহমান
ইতালি থেকে

অভিযোগটা আমার না। আমার এক ফেসবুক বন্ধুর। তিনি লিখেছেন, ইসলামি আন্দোলনের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ইসলাম’ নেই। সেখানে পুঁজিবাদীদের প্রভাব এত বেশি মাত্রায় বিস্তার লাভ করেছে যে, ওটাকে পুঁজিবাদী দলগুলোর ইশতেহার থেকে খুব বেশি আলাদা করা যায়নি।

আমার ওই বন্ধু আসলে কেমন ইশতেহার আশা করেছিল তা আমি জানি না। তবে ইসলামি আন্দোলনের ইশতেহার আমার ভালো লেগেছে। একটা আধুনিক এবং যুগোপযোগী ইশতেহার হয়েছে। সবকিছু যে ভালো লেগেছে তা নয়, কিন্তু ভালোর পাল্লাই ভারি।

আমার মনে হয়েছে, কোনো তরুণ যদি নির্মোহ ভাবে ইসলামি আন্দোলনের ইশতেহার পড়ে এবং ক্ষমতাকেন্দ্রীক দলগুলোর ইশতেহারের সাথে তুলনা করে, তবে ইসলামি আন্দোলনের ইশতেহার ভালো লাগতে বাধ্য।

যদিও আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। একগাদা ভালো ভালো কথা দিয়ে, আশ্বাস দিয়ে একটা ঢাউস উপন্যাস লেখা হয়, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে সব ভুলে যায়। তাদের কথা কাজে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ তারা জানে- কোথাও জবাবদিহি করতে হবে না, হয় না।

এ বিষয়ে ইসলামি আন্দোলন তাদের ইশতেহারে লিখেছে, জবাবদিহিতার জন্য রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক কমিশন গঠন করা হবে। যারা রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও ক্ষতাসীন দলের ইশতেহার পর্যালোচনা করবে এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

পৃথিবীর উন্নত সব দেশে নির্বাচনী ইশতেহার গবেষণা করার রেওয়াজ আছে, আমাদের দেশে নেই। আমাদের দেশী পত্রপত্রিকাগুলোতেও এসব করার প্রচলন নেই। কিছু অভিজ্ঞ মানুষের কলাম/বিশ্লেষণ ছেপেই তারা দায়িত্ব শেষ করে। কলাম লেখক নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও দলীয় প্রভাব বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ নির্মোহ কাজ খুব একটা হয় না আমাদের দেশে।

পাঠকদের মনে প্রশ্নদয় হতে পারে- আমি কেনো অচেনা ফেসবুক বন্ধুর প্রতিক্রিয়া দিয়ে লেখা শুরু করলাম। কারন হলো- তার প্রতিক্রিয়া আমার ভালো লেগেছে। আমি মনে করি ভিন্নমত, সমালোচনা থাকতে হয়। সৎসমালোচনার মধ্যে থেকেই মানুষের কাজ শুদ্ধ হয়।

যেমন, দুদিন আগে ইসলামি আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঢাকার একটা টেলিভিশনের টকশোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে আরো দুজন আলোচক ছিলেন। তাদের একজন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারমেন বদিউর রহমান।

তিনি যখন কথা বলছিলেন তার বলার ঢং, বডিল্যাঙ্গুয়েজ খুবই আপত্তিকর ছিল। তিনি দেশের ইসলামপন্থীদের বেশ অবজ্ঞা করে কথা বলছিলেন।

গাজী আতাউর রহমান খুব চমৎকার ভাবে তাকে বুঝিয়ে দেন, কথা বলারও একটা 'সাধারণ ভদ্রতা' আছে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে কথা বলার সময়, দেশের সম্মানিত মানুষদের নিয়ে মন্তব্য করার সময় তা অবশ্যই খেয়ালে রাখা দরকার। ভদ্র মানুষরা তাই করেন।

রাজনৈতিক পছন্দ অপছন্দ থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় গণমাধ্যমে কথা বলার সময় বা অন্য যে কোনো সময় সাধারণ ভদ্রতা, সৌজন্যতা সমাজের ভদ্র মানুষদের কাছে সবাই প্রত্যাশা করে। মিষ্টার বদি কথা না বাড়িয়ে তখনি নিজেকে শুধরে নেন। যা আমার কাছে বেশ লেগেছে। শিক্ষিত মানুষরা তো এমনই হওয়া উচিত।

গতকাল একটা ভিডিওতে দেখলাম, বদিউর রহমান অন্য এক আলোচনায় সেদিনের টকশোর গল্প বলছেন। উনি গল্পটা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। ইসলামপন্থী রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিতে চেষ্টা করেছেন। আমি মনে করি এতে কোনো সমস্যা হয়নি বা হয় না। বরং এক সপ্তাহ আগেও যে বদি সাহেব ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কে জানতেন না, আজ তিনি এর ভালো বা খারাপ দিক নিয়ে কথা বলছেন, এইবা কম কিসে!

আমি মনে করি এক্ষেত্রে ইসলামি আন্দোলনের দায় সবচেয়ে বেশি। তারা গত ৩১ বছরেও দেশে সব শ্রেণীর মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে পারেনি। তারা সব মানুষের কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেনি।

তবে লক্ষনীয় বিষয় হলো একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলন তিনশ আসনে একক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে তাদের বার্তা পৌছে দিতে পেরেছে। যা বিগত ৩১ বছরেও সম্ভব হয়নি।

নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ৩০ দফার একটা দীর্ঘ ইশতেহার প্রকাশ করেছে। যা থেকে দেশের মানুষ ইসলামি আন্দোলনের রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা সম্পর্কে জানতে পারবে।

ইসলামি আন্দোলনের ৩০ দফার ইশতেহারের ১৬টি কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা হবে। ন্যায়ের শাসন কায়েম করা হবে।

এখানে লক্ষ করার বিষয় হলো অন্য সবাই বলে আইনের শাসন কায়েম করা হবে। ইসলামি আন্দোলন বলেছে, ন্যায়ের শাসন কায়েম করা হবে। সব আইন সব সময়ে, সবার ক্ষেত্রে ন্যায়ভিত্তিক নাও হতে পারে। সুতরাং ন্যায়ভিত্তিক আইনের শাসন ছাড়া নীতিগত পরিবর্তন সম্ভব নয়।

অগ্রাধিকার ১৬ কর্মসূচিতে লেখা হয়েছে- নির্বাচন পদ্ধুতি পরিবর্তন করা হবে। First Past The Post (FPTP) এর পরিবর্তে Proportional Represenation (PR) পদ্ধুতি চালু করা হবে। ধর্ম এবং রাজনীতির সমন্ব করা হবে।

আমি মনে করি ধর্ম এবং রাজনীতির সমন্বয় আমাদের জন্য 'ফরজতুল্য হওয়া উচিত। কারণ ধর্মহীন রাজনীতি নৈতিকতা হারাতে বাধ্য হয়। বর্তমান পৃথিবীতে এর ভুরিভুরি উদাহরণ আছে। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে বুঝতে পারি, তাদের ধন সম্পদ আদর্শ মানবতা সবই আছে। কিন্তু রাজনীতিতে ধর্ম না থাকায় নৈতিকতা নেই।

তাদের ধর্মহীন রাজনৈতিক মানবতা কখনো কখনো এত বেশি নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে যে ইরাক, আফগান, ফিলিস্তিনির নিষ্পাপ শিশুরা সেখানে তুচ্ছ হয়ে যায়। খোঁজ করলে আমাদের দেশেও এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে।

ইসলামি আন্দোলন দূর্নীতিবাজ, খুনি, সন্ত্রাসী বা অনৈতিক কাজের সাথে জড়িতদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে। সাধারনত এসব অপরাধ কাজ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত হয় তারা প্রচলিত আইনে নির্বাচনে অযোগ্য হয় বলে আমরা জানি। কিন্তু আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বা ক্ষমতা অপব্যবহার করে তাদের অনেকেই নির্বাচন করে, নির্বাচিত হয়।

অথচ এরা যদি গোড়াতেই রাজনীতির জন্য আইনগত ভাবে প্রত্যাখ্যাত হয় তবে কোনো ভাবেই নির্বাচন পর্যন্ত পৌছাতে পারবে না। জনপ্রতিনিধিত্ব করতে হলে নিজেকে সংশোধন করে করতে হবে।

যেসব দল খুনি, সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বা লালন করবে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। এক মিনিট চিন্তা করুন, সত্যিই আমাদের দেশে এমন একটা আইন কার্যকর হয়েছে। ফলাফল নিশ্চই আর আলাদা করে লিখার দরকার নেই। সবাই বুঝতে পারছেন দেশটা রাতারাতি কোন পর্যায়ে চলে যাবে।

ইসলামি আন্দোলনের ইশতেহারে কৃষি বিপ্লবের কথা বলা হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। নারীদের জন্য সমাধিকার নয়, অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় করনের কথা বলা হয়েছে।

নিরাপদ সড়কের কথা বলা হয়েছে। নাগরিক সুবিধার জন্য খরচ কমানোর কথা বলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ইমাম, পুরহিতদের সম্মানি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। যা বিস্তারিত পড়ে আমার মনে হয়েছে, প্রকৃত ইসলাম তো এমনই।

আমরা প্রতিদিন যে ইসলাম চর্চা করি তাতো আদর্শিক ইসলাম নয়। রাজনৈতিক আদর্শের 'ইসলাম' সবার অধিকার রক্ষা করে। রাজনৈতিক ইসলাম নাগরিকদের অধিকার এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মুসলিম অমুসলিম আলাদা করে না। নারীদের পেছনের কাতারে বসিয়ে রাখে না। দূর্নীতি লালন করে না।

শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসলামি আন্দোলন। ইস্টুডেন্ট সেভিংস ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জানিয়েছে। এর দ্বারা শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভবনা কমবে এবং শিক্ষা জীবন শেষে চাকরী খোঁজার চেয়ে উদ্যোগতা হতে বেশি উৎসাহ পাবে।

এতকিছুর পরেও ইসলামি আন্দোলনের ইশতেহারে ঘাটতি রয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব উপেক্ষিত হয়েছে। বৈদেশিক অর্থ আয়ের মাগনা কামলারা (প্রবাসী) উপেক্ষিত হয়েছে। অগ্রাধিকার ১৬ কর্মসূচিতে ‘স্বাস্থ্য’ নেই। শেষের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, ‘শিক্ষা’ নেই। যা অত্যান্ত হতাশা জনক।

জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তন গোটা দুনিয়ার জন্য একুশ শতকের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে এসেছে। প্রতিদিন অভিজ্ঞজনরা এ বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন, কিন্তু আমাদের দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই বিয়ষটা গুরুত্বে নেয়নি। আওয়ামীলীগ কোনো রকমে দায় সারা দুকথা লিখেছে, এর বেশি কিছু নয়।

অথচ জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তন যদি রোধ করা না যায় এ পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। বিশেষ করে রাজনীতিকরা যদি 'জলবায়ু' না বোঝেন তবে একুশ শতকের বিশ্বে তারা অচল হয়ে পড়বেন। এই বাস্তবতা তারা বুঝতে চেষ্টা করেন নিই।

আওয়ামীলীগ বিএনপির মতো যারা ক্ষমতার রাজনীতি করে তাদের কথা আলাদা, কিন্তু যারা আদর্শের রাজনীতি করে, বিশেষ করে ইসলামী আদর্শের রাজনীতি, তাদের বোঝা উচিত ছিল।

প্রবাসীরা আমাদের দেশের জন্য নেয়ামত। তারা নিজ খরচে, নিজ চেষ্টায় বিদেশে যায়। কাজ করে যা বেতন পায়- না খেয়ে, না পরে দেশে পাঠায়। দেশের অর্থভান্ডার সমৃদ্ধ করে। সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি ইউরো, ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিংগিত গুনে সুখ পায়, কিন্তু প্রবাসীদের কোনো সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে না।

প্রবাসীদে নিয়ে কোনো গোছালো পরিকল্পনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নেই। কেউ তেমন কিছু লিখতে পারেনি ইশতেহারে। প্রবাসীদের সমস্যাগুলোর সমাধানে কেউ কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এর অর্থ হলো- প্রবাসীরা আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি, তারা শুধুমাত্র বিদেশি টাকার মেশিন হয়ে আছে।

আর এ জন্যই হয়তো ইসলামি আন্দোলন তাদের ইশতেহারে লিখেছে, 'বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের দেশে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত এবং সহজতর করা হবে'।

এদিক থেকে খেলাফত মজলিস অবশ্যই একটা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তারা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রবাসীদের কথা বলেছে। প্রবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ সেল গঠনের কথা বলেছে।

প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলেছে। প্রশিক্ষণের কথা বলেছে। প্রবাসীদের অভিজ্ঞাতা দেশের কাজে লাগানোর কথা বলেছে। তারা জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তন রোধ করতে কার্বণ নির্গমন কমানোর পরিকল্পনা জানিয়েছে।

দেশের সকল ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সাফল্য কামনা করি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানাতে চাই, অন্যদের সাথে ইসলামপন্থীদেরও যাচাই করে দেখতে পারেন। উৎসবের রংমহল না হোক, চিন্তার খোরাক পেয়ে যাবেন নিশ্চই।

লেখক: ইসলামি রাজনীতি বিশ্লেষক


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ