আওয়ার ইসলাম: সাতসকালে বাড়ির দরজায় হাজির ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্যাকেট। কিন্তু অর্ডার কে দিলো? ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছিলেন না যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা মারিওন উইশনিউস্কি। বাড়ির সবাইকে প্রশ্ন করলেন তিনি, কিন্তু কেউই অর্ডার করেননি। তাহলে অর্ডারটা দিলো কে? হঠাৎ ঘরের এক কোণ থেকে রোকো যখন ‘অ্যালেক্সা’ বলে চেঁচিয়ে উঠলো, তখন পুরো বিষয় পরিষ্কার হলো।
প্রযুক্তি মানুষকে স্মার্ট করেছে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু টেক-স্যাভি পাখির কথা কি শুনেছেন? রোকো নামের একটি ‘আফ্রিকান গ্রে প্যারট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু যে গান শোনে তা নয়, অনলাইনে শপিংও করে।
রোকো-র মালিক বাড়িতে অনুপস্থিত থাকাকালীন অ্যামাজন অ্যালেক্সা ব্যবহার করে সে নিজের পছন্দমত অনেক জিনিস আনাতে দেয়। প্রযুক্তি খবর প্রচারকারী মাধ্যম টেক টাইমস বলছে, নিজের পছন্দের খাবার যেমন- তরমুজ, কিসমিস, ব্রকোলি ও আইসক্রিমের অর্ডর দিয়েছে রোকো। শুধু তাই নয়; একটি আলোর বাল্ব এবং ঘুড়িও অর্ডার দিয়েছিল সে। রোকোর সঙ্গে অ্যালেক্সার ভালবাসা এমন যে, রোকো চাইলে গান শোনায় অ্যালেক্সা।
এমনিতেই কথা নকল করতে পারার অসামান্য দক্ষতার জন্য আফ্রিকার গ্রে প্যারট তথা ধূসর টিয়া বিখ্যাত।
রোকোর মালিক ম্যারিয়ন উইস্চেনয়স্কি সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেলকে জানিয়েছেন, তিনি যখন জানতে পারেন টিয়া কী কাণ্ডটাই ঘটিয়েছে, তিনি আশ্চর্য হয়ে যান।
‘‘অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আমি শপিং লিস্ট চেক করতে গিয়ে অবাক হয়ে যাই। তারপরে সবক'টা জিনিসের অর্ডার ক্যানসেল করি।'' বলেন তিনি।
তবে এই প্রথমবার টিয়াটি নিজের কাজের জন্য খবরে শিরোনামে হলো তা নয়। বার্কশায়ারের ন্যাশনাল অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট স্যাংচুয়ারি থেকে রোকোকে পুনর্বাসিত করা হয়। রোকো এত খারাপ ভাষা ব্যবহার করতো যে কর্তৃপক্ষ চিন্তায় ছিলেন হয়তো তার কথা শুনে অন্য পাখিরাও খারাপ ভাষাই শিখবে।
ম্যারিয়ন উইস্চেনয়স্কি ওই অভয়ারণ্যেরই একজন কর্মী। তিনিই তখন রোকোকে নিজের অক্সফোর্ডশায়ারের বাড়িতে এনে রাখেন। আদরের পোষ্যের এমন আচরণে কিন্তু মোটেই রেগে যাননি ম্যারিওন। বরং তার বুদ্ধিমত্তার তারিফ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কাজ সেরে বাড়ি ফিরলে রোকো রোমান্টিক গান চালিয়ে দেয়। ও খুবই মিষ্টি।' সূত্র- টেক টাইমস ও নিউজ এইটটিন।
কেপি