মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
বাংলাদেশসহ নানদেশে ফটো স্টুডিওর দোকান দেখা যায়। এ ফটো স্টুডিওর ব্যবসা কতটা বৈধ এ বিষয়ে আমাদের প্রশ্নের শেষ নেই। এমন দোকানীর ঘরে খাবার খেতেও চায় না অনেকে। কারণ তার আয় যদি নাজায়েজ হয় তাহলে তার ঘরের খাবারো নাজায়েজ হবে।
বিষয়টি স্পষ্ট করে বলতে গেলে প্রচলিত ফটো স্টুডিওগুলোর অধিকাংশ কাজই নাজায়েয। মানুষ সাধারণত শখের বশবর্তী হয়ে ছবি তোলে। বড় বড় ছবি টানানো হয়, বেপর্দা নারীর ছবি তোলা হয়। এসবই নাজায়েয। তাই এ ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ও নাজায়েয।
সুতরাং এ ধরনের কোনো ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহণ না করা ঠিক। অবশ্য পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং এর চেয়ে ছোট ছবি, যা অফিসিয়াল প্রয়োজনে তোলা হয় তা জায়েয এবং এ থেকে অর্জিত আয়ও জায়েয। কিন্তু স্টুডিওতে এর পরিমাণ খুবই কম। তাই স্টুডিওতে আপনার অধিকাংশ কাজ নাজায়েয এবং অধিকাংশ উপার্জনও নাজায়েয।
অতএব আপনার কর্তব্য এ ব্যবসা বাদ দিয়ে অন্য কোনো হালাল ব্যবসা করা। তবে যদি স্টুডিওটি এমন পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারেন যে, তাতে শুধু মানুষের পাসপোর্ট বা স্ট্যাম্প সাইজের প্রয়োজনীয় ছবিই তোলা হবে, যেমন কোনো কোনো ভূমি রেজিষ্ট্রি অফিসে দেখা যায়; তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ কাজ জায়েয হবে এবং এর ইনকামও হালাল হবে।
দলিল খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৮; মাজমাউল আনহুর ৩/৫৩৩; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫০; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/১৬৪
ইসলামের দৃষ্টিতে একজন ভোটপ্রার্থী কেমন হওয়া চাই