আওয়ার ইসলাম: বাবাকে অপমান করায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক মো. ইউসুফকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি করা হয়।
বাকি দুই সদস্য হলেন, মাউশির ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন এবং ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার বেনজীর আহমেদকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয় থেকে রওনা হয়েছেন।
কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে এ ঘটনায় আলাদাভাবে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস।
জানা যায়, সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে অরিতী অধিকারী (১৫) নামে ভিকারুননিসার ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেন। তিনি নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
অরিতীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, ০২ ডিসেম্বর পরীক্ষা দেওয়ার সময় অরিতীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মেয়ে পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিতী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
দিলীপ অভিযোগ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অপমান করেছে এবং জানিয়ে অরিতী পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছে।
আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়ে অপহরণ
আরআর