আওয়ার ইসলাম: প্রায় ৪০০ সরকারি হাইস্কুলে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪১টি হাইস্কুলে আজ থেকে আবেদন করা যাবে। বাকি স্কুলগুলোতে আবেদন নেওয়া হবে ৩ ডিসেম্বর থেকে।
www.gsa.teletalk.com.bd শীর্ষক ওয়েবসাইটে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদন গ্রহণ শেষে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর। শিক্ষার্থী বাছাই শেষ হলে নির্বাচনী কাজে কোনো বিঘ্ন না ঘটিয়ে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করা যাবে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক এ সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য মাউশি www.dshe.gov.bd এবং টেলিটকের উল্লিখিত ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান জানান, স্কুল ভর্তি সামনে রেখে ইতিমধ্যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, এবার স্কুলগুলোতে ১০৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এর মধ্যে ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী হবে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী এবং শিক্ষা বিভাগ কোটায়। বাকি ১০০ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন এলাকা কোটার এবং অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় পূরণ করা হবে।
ভর্তির ক্ষেত্রে সহোদর বা সহোদরা অগ্রাধিকার পাবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম শর্ত বা পাস নম্বর পেলেই চলবে। শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে শিক্ষার্থীর বয়স জানুয়ারিতে ছয় বছরের বেশি হতে হবে।
দ্বিতীয়-অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুত করা মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তি কমিটির বাছাই করতে হবে।
ভর্তির ফরম বিদ্যালয়ের অফিসে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, ডিসি অফিস, বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-৫০, এর মধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫, গণিত-২০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-১০০। এর মধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০, গণিত-৪০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা।