নাঈমুল ইসলাম খান
সিনিয়র সাংবাদিক
‘দৈনিক আজকের কাগজ’-এ (১৯৯১-১৯৯২) আমি ছিলাম পেশাদার, বেতনভুক সম্পাদক; মালিকানায় যুক্ত ছিলাম না। আমরা যারা পত্রিকাটি মিলিত মেধা ও শ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছিলাম তারা সকলেই প্রতীকী বেতনে কর্মী ছিলাম।
পত্রিকাটির মালিক ছিলেন সম্মানীয় কাজী শাহেদ আহমেদ। তিনি অর্থের যোগান দিতেন। পত্রিকার সম্পাদকীয় বা বাণিজ্যিক অর্থাৎ এর ব্যবস্থাপনা না করতেন নিয়ন্ত্রণ, না করতেন দৈনন্দিন অংশগ্রহণ। তিনি ছিলেন দূর আকাশের তারার মতো। তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনাসহ সকল কাজ আমরাই করেছি এবং শিখেছি। অকারণে নয়; আপন আগ্রহে, নিজেদের স্বপ্নপূরণের জন্যে, ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে। অন্তত দুই-তিন বছর সকলেই নিবেদিত ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্যোগী হয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছি; অনেক আনন্দে, দিন-রাত, ছুটিহীন।
কাজী শাহেদের সঙ্গে একসময় কর্মীরা বিরোধে জড়ালে বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে মালিকপক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, দুই পক্ষের সম্পর্ক আইনের দৃষ্টিতে ‘মনিব আর ভৃত্যের’। এই রূঢ় সত্যোপলব্ধি সত্ত্বেও আমরা সেসময় এতোটুকু হতোদ্যম বা কাজে নিস্পৃহ হইনি।
বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন বৃহত্তর ‘কাগজ’ পরিবারের কয়েক ডজন তারকা সাংবাদিক যখন দুর্দান্ত নেতৃত্ব ও ভূমিকা রাখছেন তখন মনে হয় সেদিনের অকৃপণ, বেহিসেবি কর্ম-পাগলামী নিষ্ফল হয়নি, নিঃস্বার্থও নয়।
নাঈমুল ইসলাম খানের ফেসবুক ওয়াল থেকে