আওয়ার ইসলাম: প্রথম বারের মতো দেশের কওমি ও আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে কওমি ধারার শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্যও উদ্যোগ নিতে এ সুপারিশ করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘কওমি মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্ট্যাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদেও বিলটি উত্থাপনের পর পাস হয়। এর ভিত্তিতেই প্রথমবারের মতো ইউজিসি বার্ষিক প্রতিবেদনে এ ধারনের সুপারিশ করলো।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ করে কওমি ও আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
আরও বলা হয়, দেশের কওমি ও আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিপুল। এমতাবস্থায় আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদরাসার উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য দেশে কাজের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যেতে পারে।
এর আগে কওমি সনদের স্বীকৃতির পর গত ৪ মার্চ একসঙ্গে এক হাজার ১০ জন কওমি আলেমকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দারুল আরকাম মাদরাসায় নিয়োগ দেয়া হয়।
দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি সম্প্রতি বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। কওমি ধারার শিক্ষার বিষয়টিও প্রথম বারের মতো এলো ইউজিসির প্রতিবেদনে।
বিএনপির কাছে যে ১০ আসন চেয়ে অনড় জমিয়ত
আরআর