তামিম আহমেদ: সকল রোগের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।কারণ রোগ হলে চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা ভালো।এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন আর আপনার খরচও বাঁচবে। এজন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো অনেকে সময় নষ্ট মনে করেন। জেনে রাখা ভালো প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।
পুরুষদের জন্য কিছু অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো ছয় মাস বা বছর খানেক পর পর করা উচিত।
জেনে নিন পুরুষদের জন্য কিছু অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক সত্যিই একটি জটিল রোগ। এর কারণ হলো হার্ট অ্যাটাক রোগে যারা মৃত্যুবরণ করে তাদের বেশির ভাগ লোকই কিন্তু প্রথম ঘণ্টার মধ্যে মারা যান।তাই আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেমন? প্রথমেই তার পরীক্ষা করতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত এবং চিকিৎসাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাত্মত শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।তাই উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা জরুরি।
ক্যান্সারের ঝুঁকি: আপনার মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা! এর জন্যে ফ্লেক্সিবল সিগমোইডোস্কপি করিয়ে নিতে হবে। ফিকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট (এফওবিটি), কোলনোস্কপি আর মোল স্ক্রিনিং করানোটাও খুবই জরুরি। যারা ধূমপায়ী, তাদের জন্যে লো-ডোজ কম্পিউটেড টমোগ্রাফি করানো অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন এবং ডিজিটাল রেক্টাল করিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস মারাত্মক একটি রোগ। ডায়াবেটিসের আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কতটা বা রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য ঠিক আছে কী না তা পরীক্ষা করে জেনে নেওয়া উচিত।