রোকেয়া মামুন: সুস্থ-দীর্ঘ জীবন আমাদের সবার কাম্য। সুস্থ জীবনের জন্য আমাদের কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। ঝেড়ে ফেলতে হবে কিছু বদ-অভ্যাস। এমন চারটি বদঅভ্যাস জানাচ্ছি আপনাদের।
প্রক্রিয়াজাত খাবারকে না বলুন
প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক বেশি চিনি, লবণ ও ফ্যাট থাকে এবং এইসব খাবারে ফাইবার বা আঁশ কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
তাই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ফুড বাদ দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার খান, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন এবং প্রচুর পানি পান করুন।
নেতিবাচক চিন্তা নয়
নেতিবাচক চিন্তা আপনার ভেতরের শক্তিকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রাগ, হতাশা, বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায় এবং অধিক খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। তাই নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক হোন।
ব্যায়াম করুণ সুস্থ্য থাকুন
সম্প্রতি এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, ব্যায়ামের মাধমে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ক্যান্সার ও স্থূলতার সম্ভাবনা কমায়। দিনে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেবে।
২০১১ সালে The Lancet e প্রকাশিত গবেষণা পত্রে দেখা গেছে যে, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম যারা করেছেন তাদের আয়ু ৩ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যারা দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন
তাদের আয়ু ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাইওয়ানের ৪১৬০০০ নারী ও পুরুষ কে নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। তাই দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা লাভের জন্য সারাদিনের কিছুটা সময় বেছে নিন ব্যায়ামের জন্য।
রাতের ঘুম হোক পুরোপুরি
ঘুমের ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ২০০৭ সালে ঘুম বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্র থেকে জানা যায়, ঘুমের হ্রাস বৃদ্ধি মানুষের মৃত্যু হারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
নিয়মিত কম ঘুমালে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আর নিয়মিত ভালো ঘুম হলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও হার্ট ডিজিজ দ্রুত ভালো হয়।
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন
মানবদেহের প্রশান্তির জন্য ইবাদতও অন্যতম। এটি মনকে প্রফুল্ল করে এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ডাক্তাররাও অধিকাংশ রোগীকে এ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি আপনার ডিপ্রেশন কমানোর পাশাপাশি মস্তিস্ক সজীব রাখে। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা আপনার সুস্থ্য জীবনের পাথেয় হবে ইনশাল্লাহ।
বিয়ের আগে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না
-এএফএম