আবুল খয়ের
সংলাপ হল পরিপক্ব রাজনীতির অংশ। ২০০৬ সালে বিএনপির সদিচ্ছার অভাবে ব্যর্থ হয়েছিল এবং বিএনপিকে তার মাশুল দিতে হয়েছিল। ১৩ সালে আওয়ামীলগের সদিচ্ছার অভাব থাকলেও খালেদা জিয়ার অপরিপক্ব রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে বিএনপিকে মাশুল দিতে হচ্ছে।
১৮ সালে এসে ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক মুভ অত্যান্ত পরিপক্ব। সংলাপের আহবান অত্যান্ত বিচক্ষণতার পরিচয়। তেমনি আহবানে সাড়া দেওয়াও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে। এখন দেখার বিষয় কে কিভাবে দরকষাকষি করে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের শর্তের মধ্যেই দরকষাকষি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকার চাইবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন অথবা খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। তবে সরকারের টার্গেট থাকবে সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সে ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার প্রথম দফাই হল খালেদা জিয়ার মুক্তি । ৭ দফার দুর্বলতা এখানে।
ঐক্য ফ্রন্টকে ছাড় দিতে হলে প্রথম দফাই ছাড় দিতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে তাতে সরকারের কিছু যেয়ে আসবেনা। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। এই সরকারই থেকে যাবে। খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতায় আসলে খালেদা জিয়া এম্নিতেই মুক্তি পাবে। এরকম কিছু হলে তা হবে একটি সফল সংলাপ।
কিন্তু সংলাপ ব্যর্থ হলে কী হবে?
সংলাপ ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগকে ২০০৬ সালে বিএনপি'র পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। এই সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। আবার জাতিকে চরম মূল্য দিতে হতেও পারে।
লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া