আবদুল্লাহ আফফান: হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী বলেছেন, মাননীয় শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমরা নজিরবিহিন নেয়ামত পেয়েছি। যা ইংরেজ আমলে হয়নি, পাকিস্তান আমলে হয়নি বাংলাদেশের অন্য সরকারের আমলেও হয়নি এরকম নজিরবিহিন নেয়ামত তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। এজন্য আমরা উনার আন্তরিক শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসমুক্ত এবং জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই আমরা। ১৫ হাজার কওমি মাদরাসা চরিত্রবান সুনাগরিক তৈরি করে। সন্ত্রাস, জঙ্গি বানায় না।
রোববার (৪ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কমিশন আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে এমএর মান দিয়ে তিনি সর্ব উত্তম কাজ করেছেন। তিনি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে স্বীকৃতি দিয়ে যথাযথ মর্যাদা দান করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি, যারা চরিত্রহীন তারাই দুর্নীতি করে। ১৫ হাজার কওমি মাদরাসা জাতিকে সুনাগরিক উপহার দিচ্ছে। তারা দুর্নীতি করে না, তারা সন্ত্রাসী হয় না, জঙ্গি হয় না।
জাতীয় সংসদে কওমি সনদের স্বীকৃতি আইন পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা উপলক্ষে এ আয়োজন করেছিল উলামায়ে কেরাম।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে শোকরানা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, হাইআতুল উলইয়ার কো চেয়রম্যান আল্লামা আশরাফ আলী, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আবদুল বছির, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহামান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শেখ আবদুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবু তাহের নদভী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নাল আবেদীন।আল্লামা শাহ আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা নূরুল আমিন।
আরও পড়ুন: ‘কওমি শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা শুরু, তাকে অবহেলা করা যায় না’
-আরআর