সামিউল্লাহ সামী: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি হওয়ার মধ্য দিয়ে কওমি শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর শিক্ষিত সমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, এখন থেকে দেশের সব শিক্ষিতই এক পরিবারভুক্ত।
রোববার (৪ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কমিশন আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত দিকনির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে। উলামায়ে কেরামের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতেই এ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
‘স্বীকিৃতির বিল সংসদের উত্থাপিত হওয়ার পরপরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কওমি স্বীকৃতির আইন যেন দ্রুত বাস্তবায়য়েন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। উলামায়ে কেরামের তৈরি নীতিমালার ভিত্তিতেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্বীকৃতির আইন পাস করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবেই আমি কওমি মাদরাসার যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, হাইআতুল উলইয়ার কো চেয়রম্যান আল্লামা আশরাফ আলী, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আবদুল বছির, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহামান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শেখ আবদুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।
সকাল ১০টায় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় শুকরানা মাহফিল। শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত করেন, দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারী হাফেজ তরিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নাল আবেদীন।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিলেন মাওলানা রুহুল আমিন
এসএস