আওয়ার ইসলাম: ঠিক মত ও পরিমিতি ঘুম সুস্বাস্থের পূর্বশর্ত। দেহকে সুস্থ্য রাখতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। ঘুম ঠিকমত না হলে দৈনন্দিন কাজে তার প্রভাব পরে।খাবারের সাথে অনেকটাই জড়িয়ে আছে ঘুম হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপারটা।
বয়স ৩০ পার হলেই যেনো এই সমস্যাটা ঘিরে ধরে প্রায় মানুষকে। আর সেই সমস্যাটা হচ্ছে ঘুম। আপনি কি জানেন আপনার দৈনন্দিন খাদ্য অভ্যাসের উপর ঘুম নির্ভর করে অনেকটাই।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অনেক সমস্যা হয়,বিশেষ করে আমাদের ব্রেন হ্যামারেজ হয়। তাছাড়া গ্যাস্টিক,মাথা ব্যাথা,বদহজম সহ অনেক সমস্যা হয়। কিন্তু কিছু খাবার আছে যা আপনার সমস্যার সমাধান করে দেবে।
কাজুবাদাম
প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কাজুবাদাম। এতে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। হৃদপিণ্ডের জন্যও বেশ উপকারী।
শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে কাজুবাদাম বেশ কার্যকরী। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, কাজুবাদামকে ঘুমবান্ধব খাবার বলা হয়। এটি ঘুম-নিয়মিতকরণ হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদন করে।
কলা
কলাতে প্রচুর ট্রিপটোফান আছে। ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর পাকা কলা। আর এ দুটি উপাদানই ঘুম-নিয়মিতকরণ হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদনে প্রয়োজনীয়। কলাতে আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার, যা ধীরে হলেও দৃঢ় শক্তির জোগান দেয় শরীরে। কলা ক্ষুধাভাব কমায়।
মধু
ঘুমানোর আগে এক টেবিল-চামচ মধু খেলে ভালো ঘুম আসে। মধুতে ঘুম উৎপাদনকারী হরমোন অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান আছে। তা ছাড়া মধুর অনেক গুণ। মধু ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
চেরি
রাতের খাবারের পর চেরি ফল খেলে ঘুম ভালো হয়। তা ছাড়া মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতেও এই ফল সাহায্য করে। চেরিতে থাকা মেলাটোনিন রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
দুধ
দুধকে সুষম খাবার বলা হয়। দুধ ট্রিপটোফানের পরম উৎস। দুধ খেলে শরীরে মেলাটোনিন ও ট্রিপটোফান হরমোন নিঃসৃত হয়, এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। গরম দুধ মাংসপেশিকে শিথিল করে। ফলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
শুকরানা মাহফিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন, আসছেন আল্লামা শফী