আওয়ার ইসলাম: কিডনির রোগ ইদানিংকালে খুব বৃদ্ধি পাচ্ছে।কিডনিতে স্টোনও বেরে যাচ্ছে খুব। অনেকের এখন এ ধরনের সমস্যা অহরহ শুনে থাকি। কিডনিতে পাথর জমার ঘটনা গত পাঁচ বছরে অত্যন্ত বেড়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন, অনিয়ম ইত্যাদি নানা কারণ এর নেপথ্যে রয়েছে।
কিডনিতে পাথর জমা হওয়ার সমস্যাকে অনেকেই ততটা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা না পেলে এই অসুখ মারণরোগে পরিণত হতে পারে।
চিকিৎসকের মতে, স্টোন মূলত দু’ধরনের। সাধারণ কারণে হওয়া পাথর ও অন্য কোনও অসুখজনিত কারণে হওয়া পাথর।
শুধু বদভ্যাসের বশেই নয়, অসুখের নানা কারণ জানা থাকে না বলেও অনেক সময় এর শিকার হই আমরা। কিছু নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু এড়াতে পারেন এমন অসুখ।আসুন জেনে নেই যেসব নিয়ম মেনে চললে কিডনি ভাল থাকবে।
শরীরের চাহিদা মেনে পানি
কিডনির কাজ শরীরের বর্জ্য ছেঁকে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিনকে সরানো। তাই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল না খেলে কিডনির পক্ষে সে কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে সেসব বর্জ্য জমে পাথর জমার সম্ভাবনাও বাড়ে।
লবণ কম
খাবারে অতিরিক্ত লবণ, বিশেষ করে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা বদলান। লবণের সোডিয়ামক কিডনি থেকে পাথর সরাতে পারে না। তাই সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর জমে।
বদহজম এড়ান
হজমে সমস্যা আনতে পারে এমন খাবার খাবেন না। হজমের গোলমাল কিডনিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বর্জ্য নিষ্কাশনে বাধা তৈরি হয় ও পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে।
ব্যথানাশক
অনেকেরই ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই ওষুধের অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিডনিতে সমস্যা তৈরি করা। কাজেই ঘনঘন এমন ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বদলান।
প্রস্রাব চেপে না রাখা
কিডনির অসুখের অন্যতম কারণ প্রস্রাব চেপে রাখা। এতে সংক্রমণ হওয়ার ভয়ও থাকে।
সাধারণ স্টোন ছাড়াও অক্সালেট স্টোন, ইউরিক অ্যাসিড স্টোন, মেয়েদের ক্ষেত্রে স্ট্রভাইট স্টোন হয়। এ সব অসুখজনিত কারণে স্টোন এড়াতে অসুখের নিয়মিত চেক আপ, নিয়ম মেনে ওষুধ ও খাদ্যগ্রহণ করুন। বারবার মূত্রনালীতে সংক্রমণ থেকে হওয়া স্ট্রভাইট স্টোন এড়াতে চেষ্টা করুন নিয়ম মেনে সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে।
ময়মনসিংহের মানুষের জন্য ১৯৫ প্রকল্প উপহার: প্রধানমন্ত্রী