আওয়ার ইসলাম: দেশে আশির দশকে প্রথম পলিথিনের শুরু হয়। এরপর মাত্র ১৫ থেকে ২০ বছরে এর ব্যবহার এত বেড়েছে যে এটি পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ঝুঁকি হয়ে
দাঁড়িয়ে। যে কারণে পরিবেশ রক্ষায় ২০০২ সালের জানুয়ারী থেকে এটি ব্যবহার, উৎপাদন ও পরিবহন করাকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
আইনটি বাস্তবায়ণে শুরুর দিকে কঠোর হলেও ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে পড়ে এর প্রয়োগ। ক্রমেই আইনটির প্রয়োগ শিথিল হতে হতে এখন বোঝার কোনো উপায়ও নেই যে দেশে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
হারহামেশাই ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ এ বস্তুটি। যেকারণে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্থ ডে নেটওয়ার্ক বলছে, প্লাস্টিকের কারণে পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) বলছে, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি পলিথিন একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয়। কারণ পলিথিন ব্যবহারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এবং এটি একেবারেই সহজলভ্য বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিক্রেতারা যেকোনো পণ্যের সঙ্গে ক্রেতাদেরকে দিচ্ছে বিনামূল্যে। সেই সঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকায় নগরীর পুরান ঢাকায় এখনও নিষিদ্ধ এ পলিথিন উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ছোট-বড় তিনশটি কারখানায়।
আরো পড়ুন- ইসলাম গ্রহণ করলেন আইরিশ গায়িকা সিনিড ওকনর