আওয়ার ইসলাম: এর আগে দেশের অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা জানা নেই। ঘটনা হল, শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা।
রাত থেকেই ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী ও তাদের সাথে অভিভাবক মিলে প্রায় লাখ খানেক বাড়তি মানুষের সমাগম ঘটেছে নোয়াখালীতে।
কিন্তু ছোট্ট একটা জেলা শহরে এত মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কোথায়। হোটেল মোটেল বাংলো মিলে সর্বোচ্চ হাজার দেড়েক গাদাগাদি করে থাকা যায়। বাকিরা কোথায় থাকবে, কোথায় খাবে?
আর এই সংকটের ফলে প্রতি বছর চরম ভোগান্তির শিকার হয় পরীক্ষার্থীরা। দুর্নাম হয় নোয়াখালীবাসীর। এবার তাই স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও কয়েকটি সেচ্ছাসেবক সংগঠন পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা পরিষদকে পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু করার অনুরোধ জানায়।
কর্তৃপক্ষও তাতে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয়।
* পরীক্ষার্থীদের থাকার জন্য পৌরসভা, জেলা ও সদর উপজেলার অডিটারিয়াম, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও সরকারি বড় স্থাপনায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
* থাকার জন্য দেয়া হয়েছে পরিপাটি বিছানা ও কম্বল ।
* নারীদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
* এছাড়া পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের বাড়িতে বাড়িতেও সাধ্যমত পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
* পরীক্ষার তিনদিন আগতদের ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেনুত আছে গরু ও মুরগির মাংসের বিরিয়ানী।
* পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্তে প্যাকেটে করে খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
* স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন সংগঠনের শত শত কর্মী।
* ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কয়েকটি মেডিকেল সেবা কেন্দ্র।
* শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বানানো হয়েছে তথ্য কেন্দ্র।
* পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে পুলিশের সাথে নামানো হয়েছে আলাদা সেচ্ছাসেবক বাহিনী।
* মোট ৩০ সেন্টারে পরীক্ষা নেয়া হবে। দূরের কেন্দ্রে সহজে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটো রিকশা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই পুরো কর্মযজ্ঞের তদারকি করছে পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান। সবচেয়ে বড় কথা শহরবাসীও বিষয়টি বেশ আনন্দের সাথে নিয়েছে। ব্যাক্তিগতভাবেও অনেকে পরীক্ষার্থীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছে ।
সবকিছুই বুমেরাং হবে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়! আশাকরি এ ব্যাপারেও সবাই আন্তরিক থাকবে।
নোয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম পেইজ থেকে নেয়া