মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ
আলেম ও লেখক
শুভেচ্ছা মানে শুভ ইচ্ছা। অর্থাৎ যে বিষয়ের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে, তার মঙ্গল এবং কল্যাণ কামনা করা।কিন্তু শিরক এমন এক ভয়াবহ গুনাহ, অন্য কোনো গুনাহ যার নিকটেও নেই। স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ভাষায় এটি হচ্ছে- মহা অন্যায় (সূরা লোকমান:১৩)।
অন্য গুনাহের কাজে সরাসরি আল্লাহ তাআলাকে অপমান করা না হলেও শিরকের মতো গুনাহে সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ তাআলাকে অপমান করা হয়। যে উৎসবে মহান আল্লাহকে অপমান করা হয়, সেই উৎসবে মুসলমানদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা কোনোভাবেই বৈধ নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার গুনাহ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করলো আল্লাহর সাথে, সে যেন মহা অপবাদ আরোপ করলো। -সূরা নিসা: ৪৮
তবে, ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। তারা তাদের উৎসব পালন করুন।
মুসলমানদের যেমন সেখানে শুভেচ্ছা জানানো জায়েয নেই, তেমনি কোনো কটূ কথা বলারও অনুমতি নেই। কুরআনে নিষেধ এসেছে তাদের প্রতিমাগুলোকে কটূক্তি করতে। কারণ তখন তারা না জেনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলাকে পাল্টা গালি দেবে। এ ব্যাপারেও আমাদের সতর্কতা কাম্য।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلاَ تَسُبُّواْ الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ فَيَسُبُّواْ اللّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِم مَّرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
“আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না; কারণ এতে তারাও সীমালংঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ-কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করতো।” -সূরা আল-আনআম, আয়াত ১০৮
আলেমদের ‘মাওলানা বলে ডাকা কি শিরক?
আরএম/