মাহমুদুল্লাহ মুহিব
শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির শহর ময়মনসিংহ। এক সময় (জমিদার আমলে) এ শহরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আধিক্য থাকলেও বর্তমান ময়মনসিংহের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রিয় মুসলমান।
শিক্ষা ক্ষেত্রেও উল্লেখ করার মত রয়েছে বহু অর্জন। এ অর্জনের পেছনে স্কুল কলেজের অবদান যেমন রয়েছে তেমনি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ও মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার অবদানও স্বীকৃত সত্য।
মসজিদ মাদরাসায় সমৃদ্ধ ময়মনসিংহ শহরকে অভিধিত করা হয় উলামায়ে কেরামের ঘাঁটি হিসেবে। যুগ যুগ ধরে এ শহরের বাসিন্দাদের হৃদয়ে ইসলাম ধর্ম লালিত হয়ে আসছে পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে। মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আাছে ইসলামী সংস্কৃতি এবং তামাদ্দুনের অপার সৌন্দর্য্য।
সেই সুপ্ত বিশ্বাস আর চেতনার অলৌকিক ক্ষমতা বলেই কিনা, যারাই এ ময়মনসিংহের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তারা ব্যক্তি হিসেবে যেমনই থাকুক কিন্তু ধর্মীও ক্ষেত্রে বেশ উদারতার পরিচয় দিয়ে থাকেন সবসময়। দূর ও নিকট অতীতের চিত্র থেকে এই সত্যটুকুন উপলব্ধি করতে পারে ময়মনসিংহবাসী।
গত ৯অক্টোবর শহরের কাঁচিঝুলি মোড়ে সৌন্দর্যবর্ধন কল্পের অংশ হিসেবে ‘আলোক বর্তিকা’ নামে আল্লাহর নাম খচিত একটি স্তম্ভ উদ্ভোদন করা হয়। ময়মনসিংহ পৌরসভার জননন্দিত মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু স্তম্ভটি উদ্ভোদন করেন। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ অন্যান্য নেতৃবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের আাদালত পাড়া তথা কাচারিঘাট মোড়েও এরকম আরেকটি নান্দনিক স্তম্ভ মেয়র মহোদয় উপহার দিয়েছেন। যা সারা দেশে খুব আালোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে। কারণ এ কাজগুলো ময়মনসিংহের মাটি মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে মানান সই হয়েছে।
সঙ্গে আরেকটা জিনিস প্রমাণীত হয়েছে, অশ্লীল এবং বিতর্কিত শিল্পের বাইরেও আরেকটা শালীন শীল্প রয়েছে যা মানুষকে পুলকিত করতে পারে; পরিবেশকে করতে পারে নান্দনিক ও উপভোগ্য।
এজন্যে যারা এখন জনপ্রতিনিধি আছেন কিংবা আগামীতে এ চেয়ারগুলোতে আসীন হবেন তাদের কাছে নিবেদন থাকবে, পরিবেশ, সম্প্রীতি ও ধর্ম আঘাতপ্রাপ্ত হয় এমন কোনো উদ্যোগ নিবেন না। মনে রাখবেন আাপনি যত অগ্রগতি আর উন্নয়নই করেন; যদি জনগণের আবেগকে স্পর্শ করতে না পারেন তবে সবকিছুই বৃথা।
এখন ময়মনসিংহে উন্নয়ন হচ্ছে, ভালো কাজ হচ্ছে। আমরা চাই ভালো কাজের এ ধারা অব্যহত থাকুক। রুচি ও শালীনতার সমন্বয়ে গড়ে উঠুক আমার প্রিয় শহর ময়মনসিংহ।
লেখক: শিক্ষার্থী
জাবিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য দূর হবে কবে?
-আরআর