আওয়ার ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাস হয়েছে পরীক্ষার আগের দিন রাতেই। পরীক্ষার দিন সকাল পর্যন্ত সেটি বিক্রি হয়েছে বলেও তথ্য মিলেছে।
ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার মধ্যেরাত থেকে পরীক্ষার দিন সকাল পর্যন্ত বগুড়ার রাহেমা কোচিং সেন্টারের সাব্বির ও গুগল এডমিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের লিমন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে এবং পরে তিন লাখ টাকায় তা বিক্রি করা হয়।
এই প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও ভাইবারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করা এক এজাহারে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল হাসান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২২(২), ৩৩(২) ধারা সহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ১৩/৪ ধারায় এ মামলা করেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, জাহিদুল ইসলাম (৪৫), ইনসান আলী ওরফে রকি (১৯), মো. মোস্তাকিম হোসেন (২০), মো: সাদমান সালিদ (২১), মো. তানভীর আহমেদ (২১), মো. আবু তালেব (১৯)। সবাই বগুড়ার স্থায়ী বাসিন্দা।
এজাহারে বলা হয়েছে, ‘সিআইডির সাইবার ক্রাইম টিমের সহায়তায় শুক্রবার (পরীক্ষার দিন) রাত সাড়ে বারটার দিকে তাদেরকে আলামতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েলচত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়’।
‘আসামিরা ১২/১০/২০১৮ (পরীক্ষার দিন রাত) ১২ টা ০৫ মিনিট থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রশ্নফাঁস করে আসছে। আসামিরা তাদের দখলে থাকা মোবাইল সিমকার্ড, ইন্টারনেট, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জালিয়াতির মাধ্যমে বে-আইনিভাবে ডিজিটাল সিস্টেমে প্রবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা স্থানান্তর করে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করে আসছে।’
শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং আমরা ছয় জনকে আটক করেছি যারা এখন থানায় আছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী এ বিষয়ে বলেন, ‘এজাহারে যা উল্লেখ হয়েছে সেটাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য।’
গত ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। আর পরীক্ষার পর পর প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে। আর সেটি খতিয়ে দেখতে সহউপাচার্য (প্রশাসন) মো. সামাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তবে কী প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে, সেই তথ্য এখনও জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর প্রশ্ন ফাঁসের কথা জানিয়ে মামলার পরও ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন-
এবার ৫ সৌদি যুবরাজ গুম, নেপথ্যে কী?
ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে মাহী-মান্নার ফোনালাপ ফাঁস
আমি রাজনীতি করি না, আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করবেন না: আল্লামা শফী
পদ্মা সেতুর কাজ আমি প্রথম শুরু করেছিলাম : প্রধানমন্ত্রী