মুফতি নাঈমুল হক
আলেম ও শিক্ষক
সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ক্রমেই আমরা বেপরোয়া ও লাগামহীন হয়ে উঠছি। কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি উপলক্ষে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠি যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তাতে আমরা বিস্মিত হই। কেননা এদের প্রতি আমাদের এক ধরনের সমর্থন ছিল অনেক আগ থেকেই।
কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতির দাবি অনেক পুরনো। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে কওমি সনদের বিল পাস হওয়ায় এটির সুষ্ঠু সমাধাও হয়েছে। একটি বিশাল সমাজ উন্নতি ও অগ্রগতির অধিকার পেয়েছে। তারা শিক্ষায় দেশের অবদান রাখবে। কিন্তু একে দমানোর জন্য আমাদের বন্ধুরাই শত্রু হয়ে উঠেছে। আবার আমাদের অনেকেই না বুঝে তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
দেওবন্দ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে একটি যুদ্ধকালীন শত্রুকবলিত সরকারের সময়ে। সেই প্রতিষ্ঠাকালের আট মূলনীতির আলোকেই আমরা এখনও পরিচালিত হয়ে আসছি। আগামী দিনেও আমরা সেই পথেই চলতে চাই।
মানুষের বানানো যে কোনো নীতি দর্শন ও মূলনীতি সংশোধন পরিবর্তন এবং পরিবর্তনযোগ্য। তবুও কওমি মাদরাসার আলেমরা বিশেষ করে আমাদের বর্তমান শীর্ষ মুরব্বিরা অতীত আকাবিরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি রাখেন।
সেই শ্রদ্ধাভক্তি আর মান্য থেকেই তারা আজও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করে দেওবন্দের আট মূলনীতির আলেকে কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়েছেন। কেবল তাই নয় নিজেদের মতামত, স্বকীয়তা রক্ষা এবং আদর্শিক ভিত্তি ঠিক রেখেই স্বীকৃতি গ্রহণ করেছেন আলেমগণ। এটি একমাত্র শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর বজুর্গী ও কারামাত।
সুতরাং সুস্থ বিবেকবান এবং আকাবিরের অনুসারী একজন কওমির সন্তানের প্রধান কাজ হবে আল্লামা শফী প্রতিটি পদক্ষেপে আস্থা রাখা। ভরসা রাখা। ছিদ্রান্বেষী মহল, বন্ধুরূপী হিংসুক কিংবা যুক্তিহীন সমালোচকের উস্কানিতে কান না দেওয়া।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীসহ আমাদের কোনো মুরব্বিকেই যেন সমালোচনার নামে হিংসা ছড়িয়ে ক্ষত বিক্ষত না করা হয়, সে দিকে নজর রাখুন। শীর্ষ মুরব্বিদের মান সম্মান ও ইজ্জতের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করুন। আল্লাহ তাওফিক দিন।
আলেমদের অপপ্রচার বন্ধ করুন; আপনাদের ইতিহাসও আমাদের জানা
-আরআর