মুহাম্মদ রুহুল আমিন খান
সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে নারীর রূপ, লাবণ্য ও সৌন্দর্যের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ অনেক বেশি।নারীর সৌন্দর্য্য অবলোকন করে তার মন উথলে উঠে। তাকে কাছে পেতে চায়। ন্যায় অন্যায়, বৈধ-অবৈধ পরিভাষাগুলো তখন সে ভুলে যায়।
পথে, ঘাটে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে তার পছন্দনীয় নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বাস্তবতা বা নিজের অবস্থানের কারণে যদি সে তাতে ব্যর্থ হয়। তাহলে সে হিংস্র হয়ে উঠে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সে তাকে উত্ত্যক্ত করে। কখনো তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। যা ধর্ষণ বা খুনের পর্যায়ে চলে যায়। আর নারীদের এরকম বিপদ থেকে বেঁচে থাকার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম মাধ্যম হল নিজের সৌন্দর্য্য ঢেকে রাখা। ইসলামের পর্দার বিধান মেনে চলা।
আল্লাহ বলেন, (হে নবী!) ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। সুরা নূর ৩১
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, পূর্ববর্তী জাহেলি যুগের নারীদের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না। সুরা আহযাব ৩৩
উপরোক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহ নারীদেরকে তাদের সৌন্দর্য্য ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সৌন্দর্য্য ঢেকে রাখার একটি মাধ্যম হল বোরকা।
বোরকা কেমন হবে এ বিষয়ে উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত মত হলো, বোরকা এমন আঁটসাঁট ও ছোট মাপের হতে পারবে না, যা পরলে শরীরের সাথে লেপ্টে থাকে এবং দৈহিক গঠন ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুটে ওঠে।
কিন্ত বর্তমানে বাজারে এমন কিছু বোরকা আছে, যা নারীদের সৌন্দর্য্য ঢেকে রাখে না। বরং আরো জমকালোভাবে প্রকাশ করে।
বোরকা পরার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, নিজের সৌন্দর্য্য ঢেকে রাখা। কিন্তু বর্তমানে অনেকে বোরকা পরে সৌন্দর্য্য ঢেকে রাখার জন্যে নয় বরং সৌন্দর্য্য প্রকাশের জন্য।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
কেননা তাদের বোরকার আকার, আকৃতি ও স্টাইল দেখে মনে হয় বোরকা একটি অলংকার, যা নারীর সৌন্দর্য্য প্রকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাছাড়া অনেকের কাছে বোরকা পরা এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহর সন্তুষ্টি ও শয়তানের বিষাক্ত তীর থেকে বেঁচে থাকার জন্যে যারা বোরকা পরিধান করেন, তা তাদের বোরকার স্টাইল দেখেই বুঝা যায়। মাশাল্লাহ তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয় বরং অনেক বেশি।
পরিশেষে বলা যায়, মেয়েদের উচিত, ফ্যাশনেবল ও টাইট-ফিট বোরকা পরিহার করে ঢিলেঢালা বোরকা পরিধান করা। যাতে তাদের সৌন্দর্য্য ও অঙ্গ প্রতঙ্গের আকৃতি প্রকাশ না পায়।
আল্লাহ সবাইকে তাকওয়া ও সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
লেখক: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জবি
যারা আমাকে আওয়ামী লীগ বলে তারা কমবখত (নির্বোধ): আল্লামা শফী
-আরআর