আওয়ার ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে অভিভাবকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত ৫ জনের মধ্যে ২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, পরীক্ষার্থী হৃদয় জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান। তাদের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘কর্তব্যরত শিক্ষকরা শরীর চেক করে তাদের কাছ থেকে ইলেক্ট্রিক ডিভাইস উদ্ধার করেন।’তবে সকল কেন্দ্রে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘ক’ ইউনিটের এই ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের মোট ৮৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘ক’ ইউনিটের ১৭৫০টি আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৬ জন।
ক্যাম্পাসের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারীবাগস্থ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটসহ ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো নীলক্ষেত হাই স্কুল, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ।
ড. শহীদুল্লাহ কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ঢাকা সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ।
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, নটরডেম কলেজ, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এরূপ কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস/যন্ত্র সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল কোর্ট দায়িত্ব পালন করে।
এটি/আওয়ার ইসলাম
আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক