আওয়ার ইসলাম: গত ১৯ সেপ্টেম্বর মহান জাতীয় সংসদের আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদীসকে মার্স্টাস (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে বিল অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন দক্ষিণ চট্রলার বৃহত্তম শিক্ষা কেন্দ্র জামিয়া জিরির প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ মোহাম্মাদ তৈয়ব ।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ উপনিবেশকালে মুসলমানদের থেকে রাজত্ব ও শিক্ষা কেড়ে নেয়ার প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও তাহযীব-তামাদ্দুন রক্ষা এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করার লক্ষ্যে দারুল উলুম দেওবন্দ ও তার চিন্তাধারায় কওমি মাদরাসাসমূহ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পার হলেও কওমি মাদরাসার লাখ লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি দিয়ে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেশের লাখ লাখ আলেম ও ছাত্রসমাজের দাবি ছিল। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নিজস্ব ঐতিহ্য, স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি বিষয়ক বিল সংসদে অনুমোদেনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন সেজন্য আমরা জামিয়া জিরির পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর এই অবদান কওমি মাদরাসার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: মাদরাসা সিলেবাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান: কতটা জরুরি
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন