আওয়ার ইসলাম: আজ থেকে বছর পাঁচেক আগেও হিজামার সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু বছর দুয়েকের ব্যবধানে সর্বত্র পরিচিত হয়ে উঠেছে এ চিকিৎসা পদ্ধতি।
কর্মব্যস্ত অবশ শরীরে চাঞ্চল্য ফিরে আনতে হিজামা খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে শরীরের বাত ব্যথা দ্রুত সারাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পদ্ধতিটি।
আর হাদিস শরীফেও বিশেষভাবে এ চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে।
হিজামা এমন একটি চিকিৎসা যেটা মানুষের শরীরকে ফ্রেশ রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বড় বড় রোগ (যেমন হার্টের রোগ, কিডনির রোগ, লিভারের রোগ, ষ্ট্রোক) থেকে নিরাপদ রাখে।
দৈনন্দিন দুআ ও কুরআন সুন্নাহর চিকিৎসা
কারণ হিজামা দ্বারা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায় এবং হিজামাই শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করার একমাত্র ন্যচারাল পদ্ধতি।
বিভিন্ন ব্যথা, উচ্চরক্তচাপ, কোলেষ্টরেল ইত্যাদির জন্য হিজামা খুবই উপকারী এবং পরিক্ষীত চিকিৎসা।
এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে।
আবু কাবশাহ আনমারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) মাথার মাঝখানে এবং দুই কাঁধের মাঝে হিজামা করতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি নিজ শরীরের এ অংশে হিজামা করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও কোন ক্ষতি হবে না। আবুদাঊদ হা/৩৮৫৯; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৪
মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন?
-আরআর