সুফিয়ান ফারাবী
তরুণ আলেম ও লেখক
পৃথিবী নামক গ্রহে আমাদের বসবাস। এই গ্রহে রুচিশীল মানুষের যেমন অবস্থান, ঠিক তেমনই রুচিহীন কিছু মানুষও বসবাস করছে। যদিও রুচিহীন বা বিকৃতরুচির মনুষের সংখ্যা খুবই কম।
মানুষ বিপরীতলিঙ্গের প্রতি ঝুঁকবে, এটা স্বাভাবিক। কেউ যদি বিপরীতলিঙ্গের প্রতি না ঝুঁকে নিজলিঙ্গের প্রতি ঝুঁকে, এটা অস্বাভাবিক বা রুচিহীনতার পরিচয়।
আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যৌনকার্যের ব্যপারে রুচিশীল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তাদের আকর্ষণ। গুটিকয়েক মানুষ যাদের সংখ্যা একেবারেই কম, তারা নিজলিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত। তারা মনে করে পুরুষ পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে, মহিলা মহিলাকে বিয়ে করতে পারবে। তাদের মতে, মানুষ যেটাতে তৃপ্তি পাবে সেপন্থাই বৈধ।
সভ্যসমাজের দাবিদার ইউরোপ ও আমেরিকায় এশ্রেণির কিছুমানুষের বসবাস অনেক আগ থেকেই। তাদের সরকারও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। অবাক করার বিষয় হলো সরকারিভাবে তাদের এই অরুচিপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিও দেওয়া হয়।
যার ফলে ইউরুপ আমেরিকায় কিছু রুচিহীনমানুষ বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে।
একটা সময় স্বয়ং আমেরিকায় এটা দোষ হিসেবে গণ্য ছিল। এখন অনেকটা ডালভাতের মতো।
ইসলাম ও মুসলিম সমাজে এটা শুধু অপরাধই নয় চরম অন্যায় ও গোনাহের কাজ। যে জাতিই এর সাথে জড়িত ছিল আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায় (পুরুষ-মহিলা)।
অনত্র এরশাদ করেছেন, আমি নারী জাতিকে সৃষ্টি করেছি যাতে তোমরা তাদের কাছে গিয়ে স্বস্তি পাও। সুতরাং আল্লাহ পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন মহিলার জন্য আর মহিলাকে সৃষ্টি করেছেন পুরুষের জন্য।
আল্লাহ তায়ালা বৈধপথে পুরুষ-মহিলার মিলনের প্রতি উৎসাসিত করেছেন এবং আদেশও জারি করেছেন।
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
হযরত লূত আ. এর জামানায় আল্লাহ এদের কঠিন শাস্তি দিয়েছেন। জিবরঈলকে আ. দিয়ে তাদের জমিন থেকে উপরে উঠিয়ে উল্টো করে মাটিতে পুতে দিয়েছিলেন।
পৃথিবীর শুরুলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত দীনের দাওয়াতের জন্য যতো নবী-রাসুল এসেছিলেন মানুষ সবাইকে চমর কষ্ট দিয়েছে। কাউকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করেছে। আবার কাউকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়া হয়েছে শেষনবী হজরত মুহাম্মাদ সা. কে। রাসূলগণ আল্লাহর প্রতিনিধি। তাদের এমন কষ্ট দেওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ মানুষকে এতোকঠিন শাস্তি দেন নি।
কোন জাতিকেই মাটিতে পুতে মারেন নি। কিন্তু যখন মানুষ তার মানুষত্ব হারিয়ে স্ব-লিঙ্গের (সমকামিতা) প্রতি ধাবিত হয়েছে তখনই আল্লাহ তাদের কঠিন থেকে কঠিন আজাব দিয়েছেন।
উপমহাদেশে ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে শান্তি বেশি। কারণ তুলণামূলক এখানে পাপ কম। যদিও পশ্চিমাবিশ্বের চেয়ে দরিদ্র। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ইউরোপ আমেরিকার মতো ধ্বংস্তূপে পরিণত হতে বোধহয় খুববেশি দেরি নেই।
কারণ উপমহাদেশ এখন আমেরিকাকে ফলো করছে এবং তাদের মনমতো আইন পাশ করাচ্ছে।
গতকয়েকদিন আগে ভারতে সমকামিতা বৈধ করে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় থেকে আইন পাশ করিয়েছে। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার হলেও এটাই সত্য।
অদূর ভবিষ্যতে বিকৃত রূচির মানুষরা এ দেশেও এমন আইনের দাবি তুলতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে যথাসাধ্য সজাগ থাকতে হবে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে যখন কোন গোত্রের উপর আজাব আসে তখন তার পার্শবর্তী গোত্র বা দেশকেও রেহাই দেয় না। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
-আরআর
ব্যবসা এখন আপনার হাতের মুঠোয়। – বিস্তারিত জানুন