মুহাম্মদ লতফেরাব্বি
শিক্ষার্থী, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়
শায়েখ উসামা আবদুল আযীম। বস্তুবাদী এই পৃথিবীর বুকে এক আসমানি তারকা। আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক এন্ড এরাবিক স্টাডিজ অনুষদের প্রফেসর।
ইসলামি শরিয়া বিভাগের প্রধান এবং শাফেয়ী মাযহাবের একজন সনামধন্য আলেম।
প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের বাইরে তার একটি বড় পরিচয় হলো কুরআনের নিভৃত সাধক। ছোট বেলা থেকে কুরআনের প্রতি যে ভালোবাসা, বৃদ্ধ বয়সেও তাতে একটুও ঘাটতি নেই।
এই কুরআনপ্রিতি থেকেই তিনি অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেন- ‘ফরজ নামাজে প্রতি ৩ দিনে এক খতম কুরআন পড়া’!!
বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও, প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি এভাবেই নামায পড়ে আসছেন। প্রতিদিন মাগরিব, এশা আর ফজরে মোট ১০ পারা তেলাওয়াত করেন। এভাবেই ধারাবাহিক খতম চলে আসছে।
রমজান মাসে তারারির খতম এই ধারাবাহিক খতমের বাইরে। তারাবিতেও প্রতি সপ্তাহে এক খতম দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা, সংসার ব্যস্ততা ও বয়সের দূর্বলতা স্বত্ত্বেও তার এই গতি থামেনি। কি অসীম অদম্য স্পৃহা!
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
কায়রোর বাসাতিন এলাকার যে মসজিদে তিনি ইমামতি করেন তার চিত্র অন্য কোথাও মেলা ভার। কুরআনপ্রেমী মুসুল্লীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকে প্রতি ওয়াক্তেই। ঘন্টাব্যাপী দীর্ঘ নামাজেও বিরক্তি দেখা যায়না কারো মাঝে।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ শেষ হচ্ছে ২০০০ তম খতম!!
এই খতমে অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই দূরদূরান্ত থেকে হজরতের মুহিব্বীনদের আগমন শুরু হয়েছে।
আমার সৌভাগ্য, এই ফেরেশতাতুল্য আলেমের দরসে বসার ও তার পেছনে নামাজ পড়ার সুযোগ হয়েছে।
আল্লাহ তার এই প্রিয় বান্দার হায়াত দারাজ করুন। কবুল করুন। আমাদেরকে তার পদাংক অনুসরণের তাওফীক দিন।
আপনার ভাবনাকে সহজ করতে এলো বিসফটি। – বিস্তারিত জানুন