মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী
মুহাদ্দিস ও টিভি আলোচক
সমকামিতা বৈধতা পেল ভারতে। আজ এক রায়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই জঘন্যতম ও নিকৃষ্টতম অপরাধকে বৈধতা দেয়।
উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারা অনুসারে, সমকামিতা অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য ছিল। ১৮৬১ সালে তৈরি এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার আইন ছিল।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের একটি দৈনিক বড় উচ্ছ্বাসের সঙ্গে এই খবরটি প্রচার করছে এবং এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
আমাদের পরিষ্কার কথা, ওরা মূর্তিপূজক ওরা অগ্নিপূজক ওরা লিঙ্গপুজক অভিশপ্ত জাতি, ওদের দেবতা ৩৩কোটি। ওদের ধর্মের কোনো ভিত্তি নেই। তাই তারা এর চেয়ে জঘন্য অপরাধকেও বৈধতা দিতে পারে; কিন্তু আমরা মুসলমান, আমরা এক আল্লাহকে বিশ্বাস করি, ঐশীবাণী পবিত্র কুরআন আমাদের জীবনবিধান। আমরা কখনোই এ ধরনের বিকৃত যৌনাচারকে সমর্থন করতে পারি না।
গে-মিডিয়ার অনুসরণ করে গে-প্রেমিকদের সমর্থন করা থেকে বিরত থাকতে হবে সবাইকে।
বিসফটি – বিস্তারিত জানুন
দ্বিতীয়ত: ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমাদের সকল নাগরিকের ক্ষমতায়নের জন্য কুসংস্কারকে বিদায় জানাতে হবে। কেউ তাদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থেকে পালাতে পারে না। সমাজ এখন ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য আরো উন্নত হয়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি সম্মান হচ্ছে স্বাধীনতার সারমর্ম। সমকামী সম্প্রদায় সংবিধানের আওতায় সমান অধিকার প্রাপ্য।’
বিকৃত যৌনাচারীদের জন্য আপনাদের এত মায়াকান্না!! অথচ ভারতে এখনো দলিতরা নির্যাতন নিপীড়ন নিগৃহের শিকার। সংখ্যালঘুরা চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
মুসলমানদের তো কোন ধরনের অধিকারই নেই। মসজিদে আজান নিষিদ্ধ, খোলা জায়গায় নামাজ নিষিদ্ধ, গরু জবাই করলে যাবজ্জীবন শাস্তি। এগুলোর বিচার হবে কবে?
ভারতে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বৈধতা পেল সমকামিতা
-আরআর