আযহার গেটওয়ে থেকে মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বীর অনুবাদ
মিশরের আল আযহার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে সব ধরনের যৌন হয়রানিকে শরয়িভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন এবং যারা হয়রানি করে তাদের গুনাহগার হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘যৌন হয়রানি একটি নিন্দিত ও নিষিদ্ধ আচরণ। সকল ধর্ম ও মতে এটি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেন, যারা মুমিন নরনারীদের অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয় তারা স্পষ্ট অপরাধী বলে গণ্য হবে। আহযাব ৫৮
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যৌন হয়রানি অবশ্যই শর্তহীন অপরাধ বলে বিবেচিত হবে এবং এ ব্যাপারে কোনো ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। নারীর পোশাক বা কোনো আচরণের ভিত্তিতে এটাকে বৈধতা দেয়ার সুযোগ নেই। কারণ এতে নারীর ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতা, সম্মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
আল আযহার কর্তৃপক্ষ বলেন, একটি জাতি ও সমাজের উন্নতি অগ্রগতি বুঝা যায় সেই সমাজে নারীর সম্মান ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থেকেই। কারণ রাসুলুল্লাহ সা. ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি ও মুসলিম সভ্যতার পূর্ণতার উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘হীরা অঞ্চলের এক নারী সফর করে বাইতুল্লাহ তাওয়াফের উদ্দেশ্যে মক্কা আসবে, (এই দীর্ঘ পথে) আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাবে না।’
বিবৃতিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের প্রতি কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের এবং ধর্মীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি এই মহামারি রোধে কল্যাণমুখী কার্যকর ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে মিশরে ব্যাপকভাবে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সে প্রেক্ষিতেই আল আযহার কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
দেশ - বিদেশে এই বিবৃতি সর্বসাধারণের প্রশংসা পেয়েছে।