আওয়ার ইসলাম: রংপুরের উত্তম জাফরগঞ্জ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার আইসিটি লার্নিং সেন্টার থেকে রহস্যজনকভাবে ১১টি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঈদুল আজহার ছুটি শেষে মাদরাসা খোলার পর চুরির ঘটনা সবার নজরে আসে বলে জানা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
চুরির ঘটনায় মাদরাসা অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠক করে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে মাদরাসার অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যদের যোগসাজসে চুরির এ ঘটনা সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা যায়, জাফরগঞ্জ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির পেছনের দরজা সংলগ্ন আইসিটি লার্নিং সেন্টার রুম লোহার কেসি গেটে তালাবদ্ধ। ওই রুমের ওপরে এক হাতের কম পরিমাণ টিন কাটা রয়েছে। এর পাশে একটি ছাদে চুরি হওয়া ২১টি ল্যাপটপের মধ্যে ১০টি সেখানে পড়ে রয়েছে। সাংবাদিক ও পুলিশের উপস্থিতিতে আইসিটি রুমের কেসি গেটের তালা খুলে দিলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সেখান একটি কম্পিউটারও নেই।
ওপরে যে পরিমাণ কাটা টিন রয়েছে তাতে মানুষের উঠা-নামা বা ভেতরে ঢোকা অসম্ভব। এমন অবস্থায় চুরির বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে বিব্রত বোধ করেন মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান ও অধ্যক্ষ আবদুস সালাম রব্বানী।
মাদরাসার নৈশ্যপ্রহরী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও (৩১ আগস্ট) নাইট ডিউটি করে শনিবার সকালে বাড়ি চলে যাই। পরে দফতরি এনামুল আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এ ঘটনাটি জানান।
তিনি বলেন, আইসিটি রুম খোলার চাবি শুধুমাত্র অধ্যক্ষ স্যার ও কম্পিউটার প্রশিক্ষকের কাছে থাকে। তারাও তো কিছু বলতে পারছেন না। চুরির এ ঘটনাটি আমার কাছে রহস্যজনক।
আয়া রিনা বেগম বলেন, আমি সকালে ঝাড়ু দিতে গিয়ে দেখি টেবিলের উপর একটি ল্যাপটপও নেই। সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষ স্যারকে ডেকে নিয়ে যাই। তারা রুমের ভেতর দেখেছেন। এগুলো চুরি হয়েছে, না অন্য কিছু হয়েছে স্যাররাই ভালো জানেন।
‘শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার পাশে সবসময় থাকতে চান’
-আরআর