সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

জরায়ুর ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্রতিবিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
ইহা জরায়ুর গ্রীবা বা সারভিক্সের এক প্রকার দূষিত ক্ষত। সাধারনত জরায়ুর নিচের সরু অংশ যা জরায়ুর মুখ বা সারভিক্স বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়৷
যোনিপথের ওপরের অংশ থেকে শুরু করে জরায়ুর মাঝামাঝি পর্যন্ত এই অংশটি বিস্তৃত৷জরায়ু-মুখের ক্যান্সার বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের নারীদের মৃতু্যর অন্যতম কারণ৷ বাংলাদেশের ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের শতকরা ৩০ ভাগই হচ্ছেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের শিকার৷
 জরায়ু ক্যান্সারের কারণঃ- মূল কারণ না জানা গেলেও নিম্নোক্ত রিক্স ফ্যাক্টরসমূহকে জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়-
২টি বয়সে বেশি দেখা যায়৷ ৩৫ বছরে এবং ৫০-৫৫ বছরে৷ অল্প বয়সে বিয়ে হলে (১৮বছরের নিচে) বা যৌন মিলন করে থাকলে। ২০বছরের নিচে গর্ভধারণ ও মা হওয়া অধিক ও ঘনঘন সন্তান প্রসব্বয। হুগামিতা স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং জননাঙ্গের অপরিচ্ছন্ন অবস্থা,।
বিভিন্ন রোগ জীবাণু দ্বারা জরায়ু বারেবারে আক্রান্ত হলেও জরায়ু ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি থাকে যেমন – হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস এবং হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস৷ 
জরায়ুর ক্যান্সারের উপসর্গঃ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ নাও থাকতে পারে৷ তবে নিচের লক্ষণগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়৷
অনিয়মিত ঋতুস্রাব হওয়া৷ঋতু সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও রক্তস্রাব দেখা যাওয়া৷  যৌনসঙ্গমের পর রক্তস্রাব হওয়া৷ নিপথে বাদামি অথবা রক্তমিশ্রিত স্রাবের আধিক্য দেখা দেওয়া৷ সাদা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব হওয়া৷ একদিন বা একমাসে হঠাৎ করে জরায়ু-মুখে ক্যান্সার হয় না৷
জরায়ু মুখ আবরণীর কোষগুলোতে বিভিন্ন কারণে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে৷ এই পরিবর্তন ধীরে ধীরে ক্যান্সারের রূপ নেয় এবং এই পরিবর্তন হতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে৷
ন্নত দেশে জরায়ু-মুখ নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়, ফলে তারা প্রাথমিক অবস্থাতেই সমস্যাটি জানতে পারেন৷ ফলে চিকিৎসার দ্বারা ১০০ ভাগ রোগী ভালো হয়ে যান৷ আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জরায়ু-মুখ নিয়মিত পরীক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থা এখনও গড়ে উঠেনি৷
এর ফলে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে শতকরা ৮০ ভাগ রোগীরা আসেন শেষ পর্যায়ে এবং ইতিমধ্যে ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় এবং অপারেশন করা আর সম্ভব হয় না৷ রোগীরা দেরীতে আসার কারণ হচ্ছে প্রথম অবস্থাতে এ রোগের কোনো লক্ষণ থাকে না, তাই সমস্যা না থাকার কারণে রোগীরা আসেন না৷
একমাত্র জরায়ু মুখনিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যাটি প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করা সম্ভব৷
করণীয়ঃ রোগের চিকিৎসার পরিবর্তে প্রতিরোধ অর্থাৎ রোগটা হতে না দেওয়া হলো বুদ্ধিমানের কাজ৷ যদিও সকল রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সম্ভব হয় না, তবে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব৷ কারণ ডাক্তার অথবা স্বাস্থ্যকর্মী সহজেই জরায়ু-মুখ দেখতে এবং পরীক্ষা করতে পারেন৷
ক্যান্সারপূর্ব অবস্থাধরা পড়লে সামান্য চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব৷ এক্ষেত্রে জরায়ু ফেলে দেবার প্রয়োজন হয় না এবং চিকিৎসার পরও সন্তান ধারণ সম্ভব ৷
এই পদ্ধতির জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব -ক্যান্সারপূর্ব অবস্থায় খালি চোখে জরায়ু মুখে কোনরকম ক্ষত বা চাকা দেখা যাবে না৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে পদ্ধতিতে জরায়ু মুখের ক্যান্সারপূর্ব অবস্থা শনান্ত করা হয় তাকে ভায়া বলে৷ পদ্ধতিতে জরায়ু মুখ পরীক্ষা করলে ক্যান্সারপূর্ব অবস্থা সাদা রং ধারণ করে৷
হোমিওপ্রতিবিধান,রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। এই জন্য অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসককে রোগীর ধাতু গত চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে জরায়ুর ক্যান্সার রোগী চিকিৎসা দেয়া হোমিওতে আল্লাহর রহমতে সম্ভব।
আর এ্যালোপ্যাথি নিয়ম হলো রোগ ধরা পড়লে অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু কেটে বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । কিন্তু দেরী হয়ে গেলে রোগ ছড়িয়ে পরবে৷ কেমোথেরাপি এবং রেডিও থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়৷ এর আবার রয়েছে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তারপর রোগটি সবক্ষেত্রে ভালো হয় না।
কিন্তু আপনি যদি কোন প্রকার কাটা চিরা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সম্পূর্ণ আরোগ্য হতে চান তাহলে হোমিওপ্যাথিই হলো তার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি।
 জরায়ুর- মুখ ক্যান্সার মুক্ত রাখতে চাইলে কিছু পরার্মশঃ প্রতি তিনবছর অন্তর স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে জরায়ু-মুখ অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে৷
৩০ বছরের বেশি বয়স হলেই জরায়ু-মুখ অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে৷ তবে ১৮ বছরের পূর্বে বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়স হলেই জরায়ু মুখ পরীক্ষা করাতে হবে৷ ★বয়স্ক মাহলাদের জন্য VIA test অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারকে দিয়ে জরায়ু-মুখ পরীক্ষা করালেও অন্যান্য স্ত্রীরোগের চিকিৎসারও সুযোগ থাকে তা হলে হোমিওচিকিৎসকের রোগীর চিকিৎসা দেয়া সহজ হবে। লেখক, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি কো- চেয়ারম্যান, হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ওপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র মোবাঃ০১৮২২৮৬৯৩৮৯ ই- মেইলঃ[email protected]

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ