আওয়ার ইসলাম: ৯ যিলহজ ফজর থেকে ১৩ যিলহজ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। মুকীম-মুসাফির, একাকি নামায পড়া ব্যক্তি ও জামাতে নামায পড়া ব্যক্তি – সকলের উপরেই ওয়াজিব। তাকবীরে তাশরীক এই-
الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلاالله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد
বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ বলা ওয়াজিব।
পুরুষ -মহিলা উভয়েরর জন্যই তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। তবে পুরুষদের জন্য তাকবীরে তাশরীক উচ্চস্বরে পড়া ওয়াজিব। আস্তে পড়লে এ ওয়াজিব পরিপূর্ণভাবে আদায় হবে না। মহিলারা নিম্ম আওয়াজে পড়বে।-রদ্দুল মুহতার ২/১৭৮
পূর্ণ তাকবিরে তাশরিক তিনবার পড়ার বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফিকহবিদরাও তিনবার বলার প্রতি গুরুত্ব দেননি। অবশ্য কেউ যদি সুন্নত মনে না করে এমনিতেই তিনবার বলে তবে সেটাকে বিদআত বলাও উচিত নয়। (আলআওসাত, হাদীস: ২১৯৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৫৬৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫)
এই তাকবির তিনবার বলা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কীভাবে তাশরিকের দিনগুলোতে তাকবির বলতেন, তা হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে একাধিকবার তাকবিরের কথা উল্লেখ নেই। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৫৬৯৮, ৫৬৯৯; আলআওসাত, হাদীস: ২১৯৮, ২২০০)
আরও পড়ুন: সৌদি বাদশা ও যুবরাজের ঈদ শুভেচ্ছা
আরএম/