শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়া মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

কুরবানির দিনের পরিচ্ছন্নতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান : জিলহজের ১০তারিখ ঈদুল আজহা পালিত হয়। মুসলিম প্রধান সবদেশেই পশু কুরবানি করা হয়। আমাদের বাংলাদেশে গরু-ছাগল কুরবানি হয়ে থাকলেও কিছু মানুষ উটও কুরবানি করে থাকেন। পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস কাটাকাটি সবই হয়ে থাকে পরিবারের মানুষের হাত দিয়ে। বাড়ির বারান্দা, উঠোন কিংবা রাজপথে। এ ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকেও খেয়াল রাখাটা জরুরী।

আসুন জেনে নেই, কুরবানির দিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে করণীয় কিছু টিপস-

১. ঈদের আগের দিন বাজার সেরে ফেলা উচিত। কারণ ঈদের দিন অধিকাংশ স্থানে দোকান বন্ধ থাকে।

২. বাজার তালিকায় পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং, স্যাভলন, পলিব্যাগ রাখতে ভুলবেন না। ময়লা ফেলার জন্য এক ধরনের পলিব্যাগ, মাংস সংরক্ষণ ও বণ্টনের জন্য আলাদা ধরনের পলিব্যাগ কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম করে কিনতে হবে।

৩. দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ পশু জবাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে দিয়েছে। সেসকল নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করুন। বাড়ির বাইরে, উঠোনে বা রাজপথে পশু জবাইয়ের চেষ্টা করবেন না।

৪. সেরকম স্থান পাওয়া সম্ভব না হলে, বর্জ্যগুলো যেখানে-সেখানে (পুকুরে, ড্রেইনে, রাস্তায়, খালে বা নদীতে) না ফেলে সঠিক ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য পুঁতে ফেলুন। সত্যি কথা বলতে এসব জৈব বর্জ্য থেকে খুব ভাল কম্পোস্ট সার হতে পারে।

৫. পরিচ্ছন্নতায় ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করলে , নিজের দিকে খেয়াল রাখুন। খালি হাতে ব্লিচিং পাউডার ধরবেন না। ত্বকের ক্ষতি হবে।

৬. পরিচ্ছন্ন স্থানে মাংস কাটুন।

৭.মাংস কাটার সময় সাবধান থাকুন। ধারালো ছুরিতে হাত পা কাটার ঝুঁকি ছাড়াও প্রচন্ড জোরে হাড় কাটতে গিয়ে নিজের হাতে, হাতের জয়েন্টে, কোমরে ব্যথা পেতে পারেন।

৮. অনেক সময়, হাড়ের টুকরো ছুটে এসে চোখে ঢুকতে পারে। সাবধান থাকুন।

৯. সম্ভব হলে, গ্লাভস ব্যবহার করুন।

১০. পশু জবাইয়ের পর সাধারণত আমরা মাংস বানানোর কাজে হাত দেই। এতে পশুর রক্ত জমে যায়। পরিবেশ দূষিত হয়। মানুষের হাঁটা-চলায় সমস্যা হয়। তাই পশু জবাইয়ের পরপর রক্তে পানি ঢেলে দিলে রক্ত ড্রেনে চলে যাবে।

১১. মাংস কাটার পর হাড়, চামড়ার কর্তিত অংশ, ভুড়ির ময়লা রাস্তায় ফেলে আমরা বাসায় বসে আয়েস করি। এতে সিটি র্করারেশনের ময়লার গাড়ি পরিস্কার করতে করতে ময়লার গন্ধে জন-জীবন উষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। তাই ময়লা ব্যাগে করে র্নিদৃষ্ট স্থানে রাখি।

আশা করা যায়, এভাবেই সফল হবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং সার্থক ও সুন্দরতম হবে কুরবানির সুমহান আদর্শ।

কুরবানি মৃত্যুর কথা স্মরণ করায়


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ