সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ঈদ উৎসব ও ইসলামের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা ইমদাদুল হক
শিক্ষক ও খতিব

হজরত আনাস রা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম হিজরত করে মদীনায় গেলেন। তখন মদীনাবাসীর দুটি দিবস ছিল, প্রত্যেক বছর তাতে তারা খেলাধুলা করত।

তিনি একবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, এদুটি দিবস কী? তারা বলল, এতে আমরা জাহিলিয়াতের সময় থেকে খেলাধুলা করি। নবীজি বলেন, আমি তোমাদের মাঝে এসেছি।

সুতরাং আল্লাহ তোমাদের বদলে দিয়েছেন, এদুটির পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিনে- আযহার দিন ও ফিতরের দিন (মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-১২৮২৭; সুনান আবু দাউদ, হাদীস-১১৩৪; সুনান নাসায়ি, হাদীস-১৫৫৬)।

মহান আল্লাহ তাদের বদলে দিলেন দুটি আবহমান দেশীয় সাংস্কৃতিক উৎসব থেকে এবং তার বদলা দিলেন তার থেকে উত্তম দুটি দিন। ইসলামে উৎসব আছে এবং উৎসবের দিনে খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের অনুমোদন ও উৎসাহ আছে।

আয়েশা রা. বলেন, এক ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার দিনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আমার কাছে এলেন, তখন আমার কাছে দুটি মেয়ে বুআস যুদ্ধ সংক্রান্ত গান গাচ্ছিল। তিনি বিছানায় অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পড়লেন।

তখন আবু বাকর প্রবেশ করলেন এবং আমাকে ধমক দিলেন, আল্লাহর নবীর কাছে শয়তানের বাদ্য হচ্ছে! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁর দিকে মুখ করে বললেন, আবু বকর, তাদেরকে ছাড়ো, প্রত্যেক জাতির ঈদ উৎসব আছে আর আজ আমাদের উৎসবের দিন।

ঈদের দিন হাবশিরা ঢাল ও বর্শা নিয়ে খেলা করত। এক ঈদে তারা মসজিদে খেলাধুলা করছিল, আমি নবীজিকে বললাম অথবা তিনি আমাকে বললেন, আয়েশা, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম, জি।

তিনি আমাকে তাঁর পেছনে দাঁড় করালেন, তাঁর গাল আমার গালের সাথে লাগানো ছিল। হাবশিদের খেলতে দেখে উমার তাদের ধমক দিলেন। তখন নবীজি বললেন, ওদেরকে ছাড়ো, ধমক দিয়ো না।

হে বনু আরফিদা, তোমরা তোমাদের মতো খেলতে থাকো, ইয়াহুদি-নাসারারা জানুক, আমাদের ধর্মে প্রশস্ততা আছে, আমি বক্রতামুক্ত উদার দীন নিয়ে এসেছি।

আয়েশা রা. বলেন, আমি ক্লান্ত হয়ে গেলে তিনি আমাকে বললেন, তোমার দেখা যথেষ্ট হয়েছে? আমি বললাম, জি। তিনি বললেন, তবে যাও। সহীহ বুখারি, হাদীস-৯৪৯, ৯৫০, ৩৯৩১; সহীহ মুসলিম, হাদীস-৮৯২; মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-২৫৮৫৫; মুসনাদ হুমায়দি, হাদীস-২৫৬।

এই যে ইসলামের উৎসব-উদারতা ও প্রশস্ততা, তারপরও মহান আল্লাহ কেন তাদের দিবস দুটি বদলে দিলেন? আমরা আয়েশা বর্ণিত হাদীসে দেখলাম, ইসলামে উৎসবে খেলাধুলা অনুমোদিত ও উৎসাহিত।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম যাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, এদুটি দিবস কী? তারা সাহাবি ছিলেন। হিজরতের পর নবীজির সোহবতধন্য কারো ক্ষেত্রে তো এমন ভাবা যায় না যে, তিনি সম্পূর্ণ শরীআতনিষিদ্ধ কোনো খেলা এভাবে প্রকাশ্যে অবলীলায় খেলতে থাকবেন!

তবুও আল্লাহ বদলে দিলেন, কেননা ইসলামের আছে পরিপূর্ণতা, যা এ জাতিকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য- যা না থাকলে কোনো জাতি স্থায়ীভাবে টিকে থাকতে পারে না; অন্যের মাঝে হারিয়ে যায়, বিলুপ্ত হয়ে যায়।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে অন্য কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের মাঝে হারিয়ে যাবে (সুনান আবু দাউদ, হাদীস-৪০৩১; মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-৫১১৪

তিনি তাঁর উম্মাতকে বিলুপ্তি থেকে আত্মরক্ষার জন্য সতর্ক করে আরো বলেন, যে অন্যের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে না, তোমরা ইয়াহুদি-নাসারাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে না। সুনান তিরমিযি, হাদীস-২৬৯৫

এজন্য মহান আল্লাহ আমাদের দেশজ সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিবর্তে উত্তম দুটি দিবস দান করলেন, যা মুসলিম জাতির আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব ও সমৃদ্ধির উত্তম নমুনা। নানাদিক দিয়ে এদুটি উৎসবের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের থেকে স্বতন্ত্র্য রয়েছে।

প্রথম উৎসব ফিতরের দিন। একমাস সিয়াম সাধনার পর এ উৎসব পালন করা হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন, সিয়াম পালনকারীর রয়েছে দুটি খুশি- একটি খুশি ফিতরের সময়; আরেকটি খুশি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়।

সহীহ বুখারি, হাদীস-৭৪৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস-১১৫১; সুনান তিরমিযি, হাদীস-৭৬৬; সুনান নাসায়ি, হাদীস-২২১৫; সুনান ইবন মাজাহ, হাদীস-১৬৩৮

মানবপ্রকৃতি যেকোনো পাওয়ার পর আনন্দ করতে চায়। রমাযানে বান্দার পাওয়া অনেক বড় পাওয়া। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্যের চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। কিন্তু এ পাওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা বান্দার গোনাহ। রমাযানে রয়েছে গোনাহ মাফের অবারিত সুযোগ।

ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে রমাযানের সিয়াম ও কিয়াম, বিশেষ করে লায়লাতুল কাদরের কিয়ামের মাধ্যমে বান্দার অতীতের সব গোনাহ ক্ষমা হয়ে যায়। সহীহ বুখারি, হাদীস-৩৫, ১৯০১; সহীহ মুসলিম, হাদীস-৭৫৯, ৭৬০

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, রমাযানের প্রত্যেক দিনে ও রাতে আল্লাহ তাঁর অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করেন। মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-৭৪৫০

এ মাসে আরো রয়েছে আল্লাহর কাছে মর্যাদার অধিকারী হওয়ার মহাসুযোগ। মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ তোমাদের ওপর সিয়াম বিধিবদ্ধ করা হল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। আল কুরআন ২ : ১৮৩

আর এই তাকওয়াই হল আল্লাহর কাছে মর্যাদার মাপকাঠি। তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাবান যে অধিক তাকওয়াবান। আল কুরআন ৪৯ : ১৩

পক্ষান্তরে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, একবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম মসজিদের মিম্বরে উঠে তিনবার আমীন বললেন। সাহাবিদের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসিত হয়ে নবীজি তার একটির কারণ বলতে গিয়ে বলেন, আমার নিকট জিবরীল আ. এসেছিলেন।

তিনি বললেন, ধ্বংস হোক, যে রমাযান পেল, কিন্তু তার ক্ষমা হল না। মুস্তাদরাক হাকিম, হাদীস-৭২৫৬

এই আশা ও আশঙ্কার সাথেই মুমিনের দ্বারে উপস্থিত হয় ফিতরের ঈদ উৎসব। আশা- হয়ত তিনি রমাযানের ক্ষমার মাধ্যমে পেয়েছেন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য আর তাকওয়ার মাধ্যমে মর্যাদার আসন।

আশঙ্কা- ক্ষমা না পেলে তো আরো ক্ষতিই বৃদ্ধি হল, ধ্বংসই ত্বরান্বিত হল! কোনো বিশ্বাসী তাই ইসলামের উৎসবে মেতে বল্গাহারা হতে পারে না। তার ‘মাঝে হারিয়ে যাবার মানা নেই’ জাতীয় অনুভূতি আসে না।

গল্পের ঢঙে একটা গল্প বলি। এক ঈদুল ফিতরের দিন। দুপুর গড়িয়ে গেছে। দামেশকের পথেঘাটে আনন্দের ঢল নেমেছে। ইমাম আওযায়ি রহ. এইসব বল্গাহীন আমোদ-আহ্লাদ দেখে বড় আফসোসভরা মন্তব্য করলেন, আল্লাহ যদি এদেরকে রমাযানে ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন, তবে এদের শোকর আদায় করা উচিৎ ছিল।

আর শোকর তো এমন বেলিল্লা আমোদের মাধ্যমে প্রকাশ পায় না। আর যদি রমাযানে তাদের পাপরাশি ক্ষমা হয়ে না থাকে, তবে তো আজ তাদের ভীত হওয়ার দিন, ক্রন্দন করার দিন। কিন্তু ভয় ও ক্রন্দনের লক্ষণ তো এটি নয়। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, কুড়ানো মানিক, পৃ. ১৮

মহান আল্লাহর দেওয়া দ্বিতীয় উৎসব আযহার দিন। ইবরাহীম আ. কর্তৃক পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানির স্মারক এই উৎসব। ইবরাহীম আ. জন্মেছিলেন ইরাকে। তখন তাঁর পিতাসহ পুরো সম্প্রদায় মূর্তি ও নক্ষত্রের পূজা করত।

এই শিরকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি তাওহীদ প্রচার শুরু করলেন। কিন্তু সেখানে তাঁর দাওয়াত গৃহীত হল না, উল্টো মাতৃভূমি তাঁর জন্য সংকীর্ণ হয়ে উঠল। অবশেষে তিনি সবকিছু ছেড়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পথে নামলেন। আল কুরআন তার নিজস্ব বাচনভঙ্গিতে এই জায়গা থেকে পুত্র কুরবানি পর্যন্ত ইতিহাসকে সুসংক্ষেপিতভাবে উপস্থাপন করেছে।

তিনি বললেন, আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম; তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। হে আমার প্রতিপালক, আমাকে একটি নেককার সন্তান দান করুন। তাই আমি তাঁকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।

সেই পুত্র যখন তাঁর সাথে চলাফেরার বয়সে উপনীত হল, তিনি বললেন, বৎস, আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী, দেখো। সে বলল, বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা করুন। আল্লাহ চাইলে আমাকে ধৈর্যধারণকারী পাবেন। যখন তাঁরা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করলেন এবং ইবরাহীম তাকে উপুড় করে শোয়ালেন, আর আমি তাঁকে ডাক দিয়ে বললাম, হে ইবরাহীম, তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ।

এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা ছিল। আর আমি তার পরিবর্তে দান করলাম এক মহান জন্তু। এবং আমি তার জন্য এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি। আল কুরআন ৩৭ : ৯৯-১০৮

আযহার দিন যখন আমরা পশুর গলায় ছুরি রাখি, এই ইতিহাসের শিক্ষাগুলো আমাদের চিন্তায় উঁকি দেয়, হৃদয়কে নাড়া দেয়! সত্যে খাতিরে কীভাবে পরিপার্শ্বের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়; প্রয়োজনে সবকিছু ছেড়ে পথে নামা যায়, কিন্তু মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার নয়!

ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক

কীভাবে সন্তানকে তরবিয়ত করতে হয়, যে সন্তান স্বপ্নের ইঙ্গিতকে আল্লাহর আদেশ বলে গ্রহণ করে সানন্দে ছুরির নিচে মাথা রেখে দেয়। কীভাবে নিজেকে মহান আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়! কীভাবে একজন শতবর্ষী বৃদ্ধ তার একমাত্র পুত্রকে আল্লাহ রাহে কুরবানি করতে রাযি হন, আল্লাহর জন্য প্রিয় থেকে প্রিয়তর বস্তু বিলিয়ে দিতে আনন্দ পান!

 

প্রিয়জনের জন্য নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিতে পারার সৌভাগ্য অর্জনের আনন্দই আযহার উৎসব। এর সাথে তুলনা নেই আবহমান দেশীয় সাংস্কৃতিক বা সেক্যুলার ভোগের আর উন্মাদনার উৎসবের। সেসব উৎসব তো আপনাকে বলবে, তুমি পরিপার্শ্বকে ভুলে নিজেকে নিয়ে হারিয়ে যাও ভোগের অথৈ সাগরে।

কিন্তু ইসলামি উৎসবের শিক্ষা হচ্ছে, তুমি তোমার আনন্দে অন্যকে ভুলে যেয়ো না। তোমার আনন্দে সকলকে শরিক করো, অসহায়ের মুখে হাসি দেখে তুমি হেসে ওঠো।

ফিতরের দিন তুমি তো মিষ্টিমুখ করে ঈদ উদযাপন করতে যাবে, কিন্তু তার আগেই তোমাকে ব্যবস্থা করতে হবে অসহায়ের জন্য।

ইবন আব্বাস রা.বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম যাকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন, যেন রোযাদার অশ্লীল ও অনর্থক কথা ও কর্ম থেকে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দরিদ্র মানুষেরা খাদ্য লাভ করে।

যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে ফিতরা আদায় করবে সেটাই কবুলকৃত হবে। আর যে ব্যক্তি তা ঈদের সালাতের পরে দান করবে সেটা সাধারণ দান বলে গণ্য হবে। সুনান আবু দাউদ, হাদীস-১৬০৯; সুনান ইবন মাজাহ, হাদীস-১৮২৭

আর আযহার দিনে পশুর গোশতেও গরিব-মিসকীনের হক রাখা হয়েছে। গরিবের প্রয়োজন থাকলে কুরবানিদাতা গোশত জমিয়ে রাখতে পারবে না।

সালামা ইবন আকওয়া রা. বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘যারা কুরবানি করেছ তাদের বাড়িতে যেন তৃতীয় দিনের সকাল পর্যন্ত কোনো গোশত না থাকে’।

পরবর্তী বছর সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি গতবছরের মতোই করব? তিনি বললেন, তোমরা নিজে খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং জমিয়ে রাখো; গতবছর মানুষের অভাব ছিল, তাই আমি চেয়েছিলাম যে, তোমরা তাতে সাহায্য কর। সহীহ বুখারি, হাদীস-৫৫৬৯

মহান আল্লাহ তাঁর নিজের ইবাদত হিসেবে পশু কুরবানির বিধান দিয়ে আয়াতের পরবর্তী অংশে কুরবানিদাতাকে আদেশ করেন, তা থেকে তোমরা নিজে খাও এবং অভাবীকে খাওয়াও, যে চায় আর যে চায় না সকলকে। আল কুরআন ২২ : ২৮ ও ৩৬

এভাবেই ইসলামের পরিপূর্ণতার মধ্যে রয়েছে একটি স্বতন্ত্র্য ও কল্যাণময় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। মুসলিমকে তাই অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে হাত পাততে হবে না, অন্যের অনুসরণ করে বিলুপ্তি বরণ করতে হবে না; সে বরং তার সৌন্দর্য দিয়ে পরিপার্শ্বকে আলোকিত করে তুলবে।

ইসলামের দাবি করার পর সেই শুধু অন্যের কাছে হাত পাতে, অন্যের নির্বিচার অনুসরণ করতে পারে যার ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা ও কল্যাণময়তা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। যে হারিয়ে ফেলেছে আত্মমর্যাদাবোধ।

আও পড়ুন

ঈদের সুন্নাতসমূহ ও জরুরি মাসআলা-মাসাইল

যিলহজ্জ মাসে করণীয় ও বর্জনীয়

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ