সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

কুরবানির পশু বনাম মনের পশু: একটি বিভ্রান্তির নিরসন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ত্বরিকুল ইসলাম
রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কুরবানির পশু নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে একটা জঘন্য বিভ্রান্তি বিরাজ করে। অর্থাৎ, বনের পশু কুরবানি দেওয়ার সঙ্গে মনের পশুকেও কোরবানি দেওয়ার কথা বেশ বলতে শুনি।

অনেকেই কুরবানির ঈদবিষয়ক ছড়া লেখার সময় অনুপ্রাসের ঝঙ্কার দেখাতে গিয়ে অজ্ঞতাবশত বনের পশুর সাথে মনের পশুকেও কুরবানি দিয়ে বসে থাকেন, যা কুরবানির মূল তাৎপর্য, ইতিহাস ও পবিত্রতার বিকৃতি এবং অবমাননা। এমন ভাবনা অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর।

এমনকি দুঃজনকভাবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এমন বিভ্রান্তি থেকেই তার ‘শহিদি ঈদ’ কবিতায় লিখেছিলেন: ‘মনের পশুরে করো জবাই / পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই / কসাইয়ের আবার কুরবানি।’

নজরুল যা বুঝাতে চেয়েছেন এই পঙক্তিগুলোতে, তা হলো: মনের পশুকে কুরবানি দেওয়া হোক। এবং বনের পশুকে জবাই না করে বাঁচতে দেওয়া হোক। আর যারা গরু বা পশু জবাই করে কুরবানি দেয়, তাদের তিনি ব্যঙ্গ করেছেন। নজরুলের কাছ থেকে এমনটা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত!

প্রকৃতপক্ষে মনের পশুর সাথে কুরবানির পবিত্র পশুর কোনো সম্পর্ক নাই। মনের পশুত্ব মানে নফস বা খারাবি বা রিপুবিশেষ; প্রতীকী অর্থে আমরা ‘মনের পশু’ বলি। অথচ আল্লাহ তায়ালা আমাদের পিতা হযরত ইবরাহিম আ.-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার সবচে প্রিয় বস্তু আল্লাহর জন্য কুরবানি করতে।

আমরা জানি, তিনি তার প্রিয় বস্তুকে কুরবানি দিয়েছিলেন; কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অশেষ কুদরতে তার প্রিয় পুত্রের বদলে জান্নাতি দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। তাহলে এখানে কুরবানির ইতিহাসে মনের পশুর প্রসঙ্গ কীভাবে আসে আমি জানিনা।

ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নয়-  ক্লিক 

মনের প্রতীকী পশু তো আপনার আমার প্রিয় বস্তু হতে পারেনা, বরং এটা অপবিত্র ও পরিত্যাজ্য একটা বিষয়। আর কুরবানির পশু হলো অত্যন্ত পবিত্র ও প্রিয় একটি বস্তু, যা আল্লাহকে উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

তাহলে কি আমরা প্রিয় ও পবিত্র কুরবানির পশুর ওপর নিজের মনের ঘৃণিত পশুত্বকে আরোপ করে কুরবানির পশুর পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করছি না? এভাবে আল্লাহর প্রতি নিজের কুরবানি বা উৎসর্গকে কলুষিত করছি না?

আর তাছাড়া মনের পশুত্বকে দমন করতে হয় নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য। এর সাথে আল্লাহর প্রতি কুরবানির পবিত্র পশু উৎসর্গ করার কোনো ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।

আর হ্যা, কুরবানি দিতে হয় একমাত্র আল্লাহর ‘নামে’। বান্দার ‘পক্ষ’ থেকে আল্লাহর প্রতি কুরবানি দেওয়াটাই নিয়ম, কিন্তু আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ‘নামে’ কুরবানি নয়। এ ব্যাপারে কথা বলার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

ওজনে বিক্রি হচ্ছে কুরবানির পশু

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ