আওয়ার ইসলাম: কওমি সনদের স্বীকৃতি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিলম্বিত হলেও বাস্তবায়ন হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইশা ছাত্র আন্দোলন।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক মন্ত্রীসভায় ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান আইন, ২০১৮’ শীর্ষক যে আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে, আমরা স্বাগত জানাই।
কওমি সনদের স্বীকৃতি দেশের কওমি ধারার বহুদিনের দাবি। কওমি ধারার অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক এই অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন স্বীকৃতি আদায়ের এই সংগ্রামে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে। বহু আন্দোলন, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও ছলচাতুরীর পরে অবশেষে এই অনুমোদনকে আমরা আশাব্যাঞ্জক বলে মনে করছি।
ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ ও সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলাম আজ এক যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেন, আইনটি ব্যাপকভিত্তিক জনমতের ভিত্তিতে তৈরি হয়নি। আইনের অংশীদার সাধারণ শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং ইসলামী সংগঠনগুলোর সাথে প্রকৃত অর্থে মতবিনিময় করা হয়নি। সেই কারণে এই আইনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বার্থ কতটা রক্ষা হবে সেটা নিয়ে আশংকা থেকেই যাচ্ছে। তবে এটা ধন্যবাদের বিষয় যে সরকার দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয় (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশের আইনের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, আইনে কথা থাকে সুন্দর। কিন্তু আইনগত ফাঁকফোকরে আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে বিলম্ব করা হয়। তবে আইনের ক্ষেত্রেও এমনটা হবে না বলেই আমরা আশা করছি।
নেতৃদ্বয় আশংকা প্রকাশ করে বলেন, কওমি শিক্ষার্থীরা বহুদিন তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো। নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার অর্জন করতেও এই শিক্ষার্থীদের বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখন এই আইন বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো মারপ্যাঁচ ও ছলচাতুরী শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের জন্ম দেবে। যার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
নেতৃদ্বয় সরকারকে আন্তরিকতার সাথে দ্রুততম সময়ে আইন নিয়ে অংর্শীদারদের সাথে আলোচনা এবং কালবিলম্ব না করে দ্রুত সংসদে অনুমোদনের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
-আরআর