আবদুল্লাহ তামিম: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ২ হাজার ৭৫৩ জন। শনাক্ত হওয়া গেছে ১ হাজার ৬৪১ জনের পরিচয়। সেই ঘটনার জন্য দায়ি করা হয় আল-কায়দাকে।
আর আল কায়দার তৎকালীন নেতা ছিলেন উসামা বিন লাদেন। উসামা বিন লাদেনের মা সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানকে এই প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে জানা যায়।
২০১১ সালে মার্কিন সিল টিমের অভিযানে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। আল কায়েদা প্রধান হিসেবে প্রায় দুই দশক ধরে দায়িত্ব পালন করা ওসামা সম্পর্কে এতদিন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন তার মা।
কিন্তু সৌদি আরবে ৩২ বছরের প্রভাবশালী যুবরাজ হিসেবে মুহাম্মদ বিন সালমান দায়িত্ব নেওয়ার পর লাদেন পরিবারের সাক্ষাৎকার নিতে দ্য গার্ডিয়ানের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
সৌদি আরবের সমালোচকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন, ওসামা সৌদি সরকারের সমর্থন পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। বিমান হাইজ্যাকের ঘটনায় জড়িত ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন সৌদি আরবের নাগরিক।
দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদক মার্টিন চুলব জানান, ওসামা বিন লাদেনের সৎ ভাইদের মাঝখানে বসে আলিয়া নিজের প্রথম সন্তান ওসামাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন, উসামা ছোটবেলায় লাজুক হলেও সে পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। ২০ বছর বয়সেই শক্তিশালী, উদ্যমী হয়ে ওঠে উসামা।
উসামা ছোটবেলা থেকেই আমার থেকে অনেক দূরে ছিলো। আমার বড় ছেলে আমার থেকে অনেক দূরে থাকার কারণে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল।
খুব ভালো ছেলে ছিল আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। লাদেনের মা সৎবাবাকে দেখিয়ে জানান, তিন বছর বয়স থেকেই ওসামাকে বড় করেছেন তিনি। তিনি ভালো মানুষ এবং ওসামার কাছেও ভালো ছিলেন।
উসামার মা দাবি করেন, জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই উসামা তালেবানদের সংগঠনে জড়িয়ে পড়েন।
বিশ বছর পর পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ কমই ছিল। সে সংগঠনকেই সময় দিত। এর পর তার দিন সেভাবেই চলে।
তিনি আরো বলেন, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আমাদের পরিবারের মানুষদের শান্তিতে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে ওঠে।
বিন লাদেনের সব কোম্পানির কাগজপত্র সরকার আটকে ফেলে। তখন সৌদি সরকারের সহায়তায় আমরা নতুন করে আঁটোসাটো জীবন চালনা শুরু করি।
তিনি দাবি করেন, সৌদি আরবের গোয়েন্দা বিভাগও আমাদের সহায়তা করেছে। তাইতো আমরা এখনো সুস্থ জীবন-যাপন করেছি।
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান , বিজন্যাস ইনসাইডার
যে কারণে পাকিস্তানে ব্যর্থ ইসলামি দলগুলো
-আরআর