উবায়দুল্লাহ আসাদ: মুসলামানদের বৈবাহিক মাসায়েল- বিশেষত তিন তালাক, হালালা, তালাকপ্রাপ্ত নারীর খরচাদি ও একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমোদন এসব বিষয়ে টিভি টকশো বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসিম নুমানি।
কেননা এসব দীনি মাসআলাসমূহকে আজকাল ইলেক্ট্রেনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া নিজেদের চিত্তাকর্ষণের সাবজেক্ট বানিয়েছে।
তিনি বলেন, ইদানিং দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এ মাসআলাসমূহে মুসলিমমুখপাত্র ও কিছু নামমাত্র মুসলিম নারী ও মিডিয়াকর্তৃপক্ষকে উপস্থিত রেখে ডিবেট ও তর্কবিতর্কে জড়িয়ে দেয়। যার উদ্যেশ্যই হচ্ছে শরীয়তের এই অপরিবর্তনযোগ্য মাসআলাসমূহকে হাঙ্গামা ও অগ্রহণীয় সাব্যস্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা এবং সাধারণ পাবলিকের অন্তরকে ভুলবুঝিয়ে প্রভাবিত করা।
এ তর্কবিতর্কে সচেতন ও পারদর্শী উলামায়ে কেরামকে শরীক করা হয় না। যদিও না হওয়া উচিত বটে। কিন্তু কিছু লোক মুসলিমপ্রতিনিধির নামে এমন প্রোগ্রামে শরীক হন এবং পরিস্থিতি এমনই করা হয় যে, বাহ্যত তাকে নিরুত্তর প্রমাণ করা হয়, যা অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।
অতএব, সমস্ত উলামায়ে কেরাম ও মুসলিমবুদ্ধিজীবিদের প্রতি আবেদন; আপনারা এরকম ডিবেট প্রোগ্রাম বয়কট করুন। এতে কখনও অংশ নিবেন না।
মাওলানা নুমানি আরও বলেন, যেসব মানুষের বাস্তবোচিত মাসআলাসমূহের বিশ্লেষণ উদ্যেশ্য, তারা তা জানতে দেশে বিস্তৃত বিশুদ্ধ মাদরাসাসমূহ ও দারুল ইফতায় আপিল করুক। আশা করি এ আবেদনের প্রতি সবাই মনোযোগী হবেন।
উল্লেখ্য, গতবছরের এপ্রিলে টকশোতে যাওয়া মুসলিম ও আলেমদের প্রতি এ আহ্বান জানান দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসিম নুমানি।
সম্প্রতি ভারতের একটি টিভিতে তিন তালাক নিয়ে আলোচনার সময় নারী প্রতিনিধি ও আলেমের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যা মিডিয়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে দারুল উলুম দেওবন্দের সেই সিদ্ধান্তটি পুনরায় আলোচনায় এলো।
সিদ্ধান্তটি সামনে রেখে আলেমগণ টকশোর আলোচকদের সতর্ক করছেন যেন তারা গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাগুলো নিয়ে আয়োজিত কোনো টকশোতে না যান।
‘ইসলামে একসঙ্গে তিন তালাক নেই; সমাজ ভুল ধারণায় বসে আছে’
-আরআর