আবদুল্লাহ তামিম: বিদেশে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সে দেশের ভিসার প্রয়োজন। জানতে হয় সে দেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য। তাই বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থাকে। বাংলাদেশেও প্রায় ৫০টি দেশের দূতাবাস রয়েছে। আর বিশ্বের প্রায় ৫৪টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে।
আমাদের দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করে সৌদি আরবে। তাই সৌদিতে যেতে হলে কী করতে হবে এবং সৌদি আরবের দূতাবাস থেকে আমাদের কী ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাবে বিষয়গুলো জেনে রাখুন।
সৌদি দূতাবাস
ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের দূতাবাস অন্যতম। সৌদি আরবের ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য প্রথমে আল-মানার কনসালটেন্সি লিমিটেড এজেন্সিতে যেতে হবে আপনাকে।
সৌদি দূতাবাস ও এজেন্সির ঠিকানা
গুলশান ২ এর গুলশান এভিনিউতে অবস্থিত র্যাংগস আর্কেড মার্কেটের বিপরীত রাস্তা দিয়ে ৩০ গজ যাওয়ার পর হাতের বামে টার্ন নিয়ে গুলশান পার্কের পর হাতের বামে টার্ন নিয়ে গুলশান পার্কের গেট পার হয়ে ১০ গজ সামনে গেলেই সুন্দর লাল ইটের বিল্ডিংয়ে সৌদি দূতাবাস দেখতে পাবেন।
ঠিকানাটা বলতে গেলে- বাড়ি # ৫ (নতুন) এল, রোড # ৮৩, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২।
আপনাকে অনেক সময় ভিসা প্রসেসিংয়ে বিভিন্ন এজেন্সির স্মরণাপন্ন হতে হবে। সৌদিতে যেতে হলে যে এজেন্সির নামটি আগে আসে, আল-মানার কনসালটেন্সি লিমিটেড।
এজেন্সিটির ঠিকানা বাড়ী # ২২, রোড # ৪, ব্লক # এফ, বনানী, ঢাকা- ১২১৩। সহজে চিনবে চেয়ারম্যান বাড়ী মসজিদের কাছে বললে।
এয়ারপোর্ট রোড থেকে বনানী ১১ নং বনানী রোডে যাওয়ার পর প্রথম চার রাস্তার মোড় থেকে হাতের ডানে টার্ন নিলে রাস্তার পূর্ব পাশে বনানী মসজিদের কাছে।
তবে আপনি শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খোলা পাবেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। ভিসা প্রসেসিং এর সময় কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে ৩ (তিন) কার্য দিবস।
ভিসা প্রসেসিংয়ে আপনাকে যা যা করতে হবে
১) ভিসা ফর্ম ইংরেজিতে যথাযথভাবে পূর্ণ ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ পূরণ করতে হবে। ফর্মের বাম কোনায় আঁঠা বা গাম দিয়ে ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
২) সৌদি মালিকের আইডি কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি লাগবে।
৩) আমন্ত্রণপত্রের মূলকপি জমা দিতে হক্সেবং চেম্বার হতে সত্যায়িত হতে হবে।
৪) ভিসা অফিসার বরাবর স্থানীয় কোম্পানির প্যাডে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।আরবিতে অনুবাদ করতে হবে।
৫) ট্রেড লাইসেন্স আরবিতে অনুবাদ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় কর্তৃক সত্যায়িত মূল কপি জমা দিতে হবে ও মূল ট্রেড লাইসেন্স কাউন্টারে দেখাতে হবে।
অন্যান্যদের ক্ষেত্রে তার পরিচয়পত্রের ফটোকপি আরবিতে অনুবাদ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত মূলকপি জমা দিতে হবে ও মূল পরিচয়পত্র কাউন্টারে দেখাতে হবে।
৬) ব্যাংক থেকে নিজের নামে সদ্য প্রদত্ত ব্যাংক এস্টেটমেন্ট এর মূলকপি জমা দিতে হবে।
৭) ডেলিভারির দিন স্লিপে নির্ধারিত অফিসার কর্তৃক ভিসা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ২০০ (দুইশত) রিয়ালের সমপরিমান টাকা HSBC ব্যাংকের সৌদি দূতাবাস বুথে জমা করে ওই ব্যাংক স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে।
৮) ইন্টারনেট ও পেমেন্ট পেপার লাগবে।
ভ্রমণ ভিসা পেতে যা করতে হবে
১) ভিসা ফর্ম ইংরেজিতে পূর্ণ ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্মের বাম কোনায় আঁঠা বা গাম দিয়ে ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
২) প্রত্যেকের জন্য আলাদা পাসপোর্ট লাগবে (শিশুদের ক্ষেত্রেও)
৩) ভিসা এ্যাডভাইস এর কপি জমা দিতে হবে।
৪) শিশুর বয়স ৫ বছর হলে তার টিকার কার্ড জমা দিতে হবে এবং বয়স্কদের ম্যানেনজাইটিস টিকা কার্ড জমা দিতে হবে।
৫) যার কাছে যাবে তার বর্তমান ঠিকানা মেয়াদকালীন ইকাসার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৬) যার কাছে যাবে তার সাথে সম্পর্কের সার্টিফিকেট (কাবিননাম, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট) আরবিতে অনুবাদ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে ফটোকপি জমা দিতে হবে ও মূল কপি দেখাতে হবে।
৭) অন্যান্যদের যেমন- মা,বাবা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাই-বোন, মামা, খালা, চাচা, বন্ধু ইত্যাদি সম্পর্কের সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে মূলকপি জমা দিতে হবে।
৮) ডেলিভারির দিন স্লিপে নির্ধারিত অফিসার কর্তৃক ভিসা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ২০০ (দুইশত) রিয়ালের সম পরিমান HSBC ব্যাংকের সৌদি দূতাবাস বুথে জমা করে ঐ ব্যাংক স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট গ্রহন করতে হবে।
৯) ভিসা ইস্যুর জন্য বিধি মোতাবেক ইন্টারনেট ও পেমেন্ট পেপার লাগবে।
ভিসার অবস্থান
১) ভিসা ফর্ম ইংরেজিতে পূর্ণ ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্মের বাম কোণায় আঁঠা বা গাম দিয়ে ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
২) প্রত্যেকের জন্য আলাদা পাসপোর্ট লাগবে (শিশুদের ক্ষেত্রেও)
৩) ভিসা এ্যাডভাইস এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৪) GAMCA ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট কর্তৃক নির্ধারিত মেডিক্যাল সেন্টারের ফিট মেডিক্যাল কার্ড লাগবে। শিশুদের বয়স ৫ বছরের কম হলে মেডিক্যাল কার্ডের পরিবর্তে তার কার্ড জমা দিতে হবে।
৫) স্বামী বা পিতার মেয়াদকালীন ইকামার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৬) কাবিননামা, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট আরবিতে অনুবাদ করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে ফটোকপি জমা দিতে হবে ও মূল কপি দেখাতে হবে।
৭) ডেলিভারির দিন স্লিপে নির্ধারিত অফিসার কর্তৃক ভিসা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ৫০ রিয়ালের সমপরিমাণ টাকা HSBC ব্যাংকের সৌদি দূতাবাস বুথে জমা করে ওই ব্যাংক স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হব।
৮) ভিসা ইস্যুর জন্য ইন্টারনেট ও পেমেন্ট পেপার লাগবে।
ভিসা প্রসেসিংয়ে যত টাকা লাগতে পারে
আল-মানার কনসালটেন্সি লি. এর কাগজপত্র নিয়ে গেলে কাগজপত্র দেখে ভিসা প্রসেসিং ফি বলে দেওয়া হয়।
আল-মানার কনসালটেন্সি লিমিটেড এ যোগাযোগ করতে ফোন- ০০৮৮-০২-৯৮৮৬০৩১, ৯৮৮৬০৩২
ফ্যাক্স- ( ০০-৮৮-০২) ৮৮২৯০১০, ই-মেইল- [email protected]।
দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হলে ফোন: +৮৮-০২- ৮৮২৯১২৮-৩১, ৮৮২৬৬৯৮-৯, ৮৮২৯১২৫-৩৩
ফ্যাক্স: (৮৮০-২-) ৮৮২৩৬১৬।
সূত্র: উইকিপিডিয়া, ঢাকা অনলাইন গাইড
আরো পড়ুন-
পাকিস্তানে নির্বাচনী সভায় বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮
ইসরায়েলি সেনাকে অভিশাপ দেয়া এক বৃদ্ধর ছবি ভাইরাল
ক্রাউন প্রিন্স সম্পর্কে মন্তব্য করায় গ্রেফতার আরেক সৌদি আলেম