নকীব আরসালান
আলেম, শিক্ষক ও গবেষক
আল্লামা ইকবাল বলেছেন, ‘ওহ যমানে মে মুয়াযযাজ থে হামেলে কুরআন হো কার, হাম যলীল ও খার হুয়ি তারেকে কুরআন হো কার’। অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষগণ সম্মানের আসনে সমাসীন হয়েছিলেন কুরআনের বাহক হয়ে আর আমরা লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার গহ্বরে পতিত হয়েছি কুরআন পরিত্যাগ করে।
বর্তমানে মুসলিম জাতির যে লাঞ্ছনাদায়ক পতন ঘটেছে তা বর্ণনাতীত, এটা শুধু অনুভবের বিষয়। সিরিয়া, আরাকান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, জিনজিয়াং আজ মুসলমানের গোরস্তানে পরিণত হয়েছে, সেই সাথে আমেরিকা-ইউরোপ চিন-ভারতসহ সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের ওপর চলছে পাশবিক নির্যাতন।
তাছাড়া ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর, ইয়েমেন, পাক-আফগানে যে রক্তগঙ্গা বইছে, ধন সম্পদের যে ক্ষয়- ক্ষতি হচ্ছে- তা ভাষায় ব্যক্ত করা এবং সঠিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা প্রায় অসম্ভব। এক কথায় তামা হয়ে গেছে মুসলিম দুনিয়া। এ ধ্বংসলীলা শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভবের বিষয়, ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়।
মুসলিম জাতি পৃথিবীর মূল ভূখণ্ড, পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদের অধিকারী এবং অর্ধেক কর্মক্ষম যুবশক্তির মালিক হয়েও পতনের যে স্তরে পতিত হয়েছে- ভূপৃষ্ঠে অন্য কোনো জাতির বেলায় এমনটা দেখা যায়নি।
আজ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা আমাদের সম্পদ চুষে নিয়ে সেই সম্পদ দিয়ে আমাদেরই ধ্বংস করছে। কাজেই আর সময় নেই, এখনই গবেষণা করতে হবে, অনুসন্ধান করতে হবে কেন আমাদের এই সর্বনাশা পরিণতি হল?
চিন্তাবিদরা বলছেন, মুসলমানরা কুরআন পরিত্যাগ করার কারণেই এ নির্মম পরিণতি। কাজেই আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে, আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে কিভাবে আমরা কুরআন পরত্যাগ করলাম।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তোমরা কি কিতাবের কিয়দাংশ মান আর কিয়দাংশ প্রত্যাখ্যান কর’? রাসুল সা. আল্লাহর দরবারে অভিযোগ করবেন, ‘প্রভু আমার কওম কুরআনকে পরিত্যাগ করে ফেলে রেখেছিল’। কাজেই আমাদের আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে আমরা কুরআন পরিত্যাগ করেছি কিনা?
এখানে উল্লেখ্য, যারা পশ্চিমা বস্তুবাদী শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সমাজতন্ত্র ও সেক্যুলার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের ক্ষেত্রে কুরআন গ্রহণ-বর্জনের হিসাব কষে লাভ নেই। কারণ তাদের মতে ধর্ম একটা ঐচ্ছিক বিষয়, কুরান মানবজাতির সংবিধান নয়। কাজেই অনুসন্ধান করতে হবে- যে সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানো হবে সেই সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে কিনা।
অর্থাৎ আমরা যারা ইসলামপন্থী, মাদরাসা শিক্ষিত ও কুরআনের ধারক-বাহক দাবিদার তারা কুরআনের কতটুকু বহন করছি?
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দাওরা, কামিল বা ইসলামিয়্যাতে মাস্টার্স পাস ছাত্ররা নামাজ রোজা হজ যাকাতের কিছু মাসআলা-মাসায়েল ছাড়া সমগ্র কুরআন ও কুরআনের বিধি-বিধান সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা অর্জন করতে পারেন না। কুরআনের দুই তৃতীয়াংশ বিধান তাদের অধরাই থেকে যায়।
নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো সম্পর্কে তারা কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারে না বিধায় এ সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিতেও অক্ষম। যেমন মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি বা ফেরকাবাজির বিধান কী, যাকাত ছাড়া কুরআনের যেসব আয়াতে ইনফাক ও সম্পদের সমবণ্টনের কথা বলা হয়েছে সেসবের উদ্দেশ্য কী? ইসলামি বিচারব্যবস্থা কী এবং দুর্বলের জন্য এই বিচারব্যবস্থা রক্ষাকবচ কেন? ইসলামি রাষ্ট্র কী, ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিক সুবিধা কী কী, অমুসলিমদের সুবিধা কী কী, কুরআনে বর্ণিত বিজ্ঞান সংক্রান্ত আয়াতগুলির সমাধান কী, ব্যাংকিং ফাইন্যান্স যৌথ কারবার ইত্যাদির রূপরেখা কী?
এসব বিষয়ে অধিকাংশ মাদরাসা পড়ুয়া কোনো উত্তর দিতে পারে না। আমি নিজে দেশের তিনটি ধারায় লেখাপড়া করেও এসব বিষয়ের সমাধান এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আয়ত্ব করতে পারিনি। এই না জানার কারণ আমাদের দুর্বলতা নয়, এগুলো আমাদের পড়ানো হয়নি, আমাদের সিলেবাসে নেই।
উপমহাদেশে কুরআন বা ইসলাম শিক্ষার উৎস হলো তিনটি, কওমি মাদরাসা, আলিয়া মাদরাসা এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত কিছু আয়াত ও হাদিসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পড়ানো হয়। কাজেই সেখানে পূর্ণাঙ্গ ইসলাম শেখার সুযোগ নেই, তবে তারা আধুনিক জ্ঞানে পারঙ্গমতা অর্জন করতে পারে।
আলিয়া মাদরাসা ইংরেজরা যে উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠা করুক না কেন পরবর্তীতে এখানে ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়- যাতে এখানকার ছাত্ররা ইসলাম ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে যোগ্যরূপে গড়ে উঠতে পারে।
কিন্তু কথায় বলে ‘যে সবটাই চায় সে সবটাই হারায়’ আলিয়া মাদরাসারও এই অবস্থা হয়েছে। এখানে ত্রুটিপূর্ণ সিলেবাস, ত্রুটিপূর্ণ পাঠদান পদ্ধতি এবং আরবি গ্রামারে উদাসীনতার কারণে এ শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোটাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।
কামিল পাশ করার পর অধিকাংশ ছাত্র আরবি রিডিং পড়বে তো দূরের কথা কামিল শব্দের অর্থ বলতে পারে না, সুরা ফাতেহার অর্থ বলতে পারে না এমনকি শুদ্ধরূপে পড়তেও পারে না। তদুপরি এখানে অধ্যায়ভিত্তিক সিলেবাস পড়ানো হয় বিধায় ইচ্ছা করলেও পূর্ণাঙ্গ ইসলামি জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়।
বাকি থাকল কওমি মাদরাসা, ভারতবর্ষে এটাই হল ইসলাম শিক্ষার প্রধানতম উৎস, ইলম ও আমল দুরস্ত করার একমাত্র কেন্দ্র। এখানে কোনো অধ্যায় ভিত্তিক সিলেবাস নেই। সম্পূর্ণ কিতাব পাঠ্য, এখানে পাঠদান ব্যবস্থা ভালো। যথাযথভাবে ক্লাস নেয়া হয়।
রমজানের পর থেকে ক্লাস শুরু হয় আবার রমজানের পূর্বে পরীক্ষার আগে পাঠ্যভুক্ত প্রত্যেক কিতাব শেষ করা হয়। এখানকার নেজাম, কঠোর অনুশাসন, সার্বক্ষণিক উস্তাদের তত্ত্বাবধান এবং গুরুত্বসহ পাঠদানের ফলে প্রত্যেক ছাত্র নিজ নিজ মেধার পরিধি অনুযায়ী ইলম অর্জন করে, করতে পারে এবং করতে বাধ্য।
কিন্তু কওমি মাদরাসার সিলেবাস ফিকহ নির্ভর, এখানে মক্তবে আউয়াল বা প্রথম শ্রেণি থেকে জালালাইন পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসে ফিকাহ গ্রন্থ পাঠ্য রয়েছে। আবার দাওরা ক্লাসেও ফিকাহই শিক্ষা দেয়া হয় অথচ উপমহাদেশের বাইরে হাদিসের শুদ্ধাশুদ্ধি (আসমায়ে রেজাল) নিয়ে আলোচনারই আধিক্য।
কিন্তু আমাদের এখানে হাদিসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয় ফিকহের ভিত্তিতে। অর্থাৎ কোন হাদীস দ্বারা কোন মাসালা নির্গত হয়, কোন ইমাম কোন হাদীস দ্বারা কোন মাসআলার দলীল দিয়েছেন ইত্যাদি। কিন্তু কুরআন শিক্ষা একেবারেই সীমিত, নিচের দিকে কুরআন তরজমা পড়ানো হয়।
তাফসিরে জালালাইন পড়ানো হয়, ব্যাপকার্থে এটা তাফসির নয়, এটা হল কুরআনের তরজমা বোঝার জন্য কঠিন শব্দ বিশ্লেষণ ও বাক্যার্থ বোঝার জন্য গ্রামাটিকাল বিশ্লেষণ।
আর তাফসিরে বায়যাবীও নিরেট দর্শন ও গ্রামাটিকাল বিশ্লেষণ। বস্তুত হাদিস রিসার্চ করে যেভাবে মাসআলা উদ্ভাবন করা হয় সেভাবে কুরআন রিসার্চের কোনো সুযোগ নেই। ফলে কুরানের অসংখ্য বিধি-বিধান পরিত্যক্ত হয়ে নির্বাক গুমরে গুমরে কাঁদে।
কাজেই বোঝা গেল ইসলাম শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র কওমি শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ফিকহ নির্ভর। আর এই ফিকাহর গ্রন্থগুলি নামাজ রোজা হজ যাকাত সংক্রান্ত। সেগুলিতে উম্মাহর ফিরকা, ইসলামি রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার, অর্থ, বিচার, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত কোনো অধ্যায় নেই। সঙ্গত কারনেই ছাত্রদেরও এসব বিষয়ে জ্ঞানার্জন করার সুযোগ নেই।
হ্যাঁ কয়েকশ বছর আগের বিধিবিধান সম্বলিত হেদায়া পাঠ্য আছে- যা বর্তমান যুগ-জিজ্ঞাসার সামনে অনেকটাই অচলের মতো। এটা শুধু পূর্বের রীতি অনুযায়ী পাঠ্য রাখা হয়েছে, অনেক মাদরাসায় পড়ানোও হয় গুরুত্বহীনভাবে। ছাত্ররাও কোন রকম পরীক্ষা পাশের প্রস্তুতি নেয়।
তাছাড়া কওমি মাদরাসা বোর্ড, আলিয়া মাদরাসা বোর্ড ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিয়্যাতে কখনো এ জাতীয় প্রশ্ন করা হয় না বিধায় ছাত্রদেরও এসব বিষয়ে জ্ঞানার্জন সম্ভব হয় না।
সুতরাং মাদরাসা পড়ুয়ারা যত উন্নত মেধার অধিকারীই হোক না কেন তার পক্ষে বিজ্ঞান, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা অসম্ভব। কারণ এসব বিষয় কওমি আলিয়া নির্বিশেষে ইসলামি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য নেই।
ঠিক এখানেই ঘটেছে বিপত্তি এবং মহাবিপত্তি। কারণ ইসলাম শিক্ষিতরা রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পর্কে অজ্ঞ থাকছেন। অর্থব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার, নারী অধিকার, অমুসলিম অধিকার, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং, সামাজিক কর্মকাণ্ড, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংবিধান ইত্যাদি সম্পর্কে মাদরাসা শিক্ষিতরা ধারণা অর্জন করতে পারছেন না। ফলে এসব বিষয়ে অধিকাংশই ন্যূনতম মত প্রকাশ করতে অক্ষম। (তবে ব্যক্তিগত অধ্যয়নকারী কিছু শিক্ষার্থী এর থেকে আলাদা।)
শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে শুধু পারলৌকিক পুঁজির জন্য মসজিদ মাদরাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি- এই দুটি বিন্দুতে আবদ্ধ হয়ে থাকছেন আর রাষ্ট্র রাজনীতি অর্থনীতি বিচার বিজ্ঞান ইত্যাদি পার্থিব সকল বিষয় ছেড়ে দিচ্ছেন দাজ্জালের (ইহুদি-খৃস্টান) হাতে। এই সুযোগে দাজ্জাল খালি মাঠে একের পর এক গোল দিয়ে যাচ্ছে।
দাজ্জালি মতবাদ সমাজতন্ত্র, সেক্যুলার ধনতান্ত্রিক গণতন্ত্র পৃথিবী গ্রাস করে নিয়েছে, খোদার জমিনে দাজ্জালি খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই দাজ্জাল মুসলিম দুনিয়া গ্রাস করে নিয়েছে অথচ আলেমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে ও করতে পারছেন না।
কারণ সমাজতন্ত্র ও সেক্যুলার গণতন্ত্রকে মোকাবেলা করার মতো বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ মাদরাসাসিলেবাসে রাখা হয়নি।
এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কি প্রচলিত সায়েন্স আর্টস কমার্স তথা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় কুরআনে নেই, নাকি আছে কিন্তু আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি?
অর্থাৎ কাজীর গরু যেমন কিতাবে আছে গোয়ালে নেই তদ্রুপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিচালনার শিক্ষা কুরআনে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই অর্থাৎ সিলেবাসে নেই- বিষয়টা এমন কিনা?
এখানে, ঠিক এখানেই প্রশ্নটা এবং গবেষণার বিষয়টা। মাদরাসা পড়ুয়া হিসেবে কুরআনের যেসব শিক্ষা বাদ পড়ে গেছে বলে আমার বিবেকে বাধে সেগুলি আমি ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। তুলে ধরব ওলামায়ে কেরাম, ইসলামি চিন্তাবিদ, ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমানের বিবেকে এজন্য যে, তারা এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন গবেষণা করবেন, কুরআনের যেসব শিক্ষা বাদ পড়ে গেছে সেগুলি মাদরাসা ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য করবেন।
তারপর যেদিন ইসলামি শিক্ষিতরা কুরআনের এসব জ্ঞানে পারদর্শিতা অর্জন করে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দাজ্জাল প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জন করবে সেদিন পৃথিবী থেকে দাজ্জালি মতবাদ সূর্যোদয়ের মুখে আঁধারের ন্যায় বিলীন হয়ে যাবে। সেদিন ইসলাম ও উম্মাহর মুক্তি জুটবে এবং পৃথিবী ইসলামের জয়গান গাইবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, আমার ক্ষুদ্র চিন্তা অনুযায়ী মুসলমানদের ত্রুটি বিচ্চুতিগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করব সমাধানের জন্য। আর সমাধানটা ঐক্য ব্যতিত কোনো একক দল ও মতের পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য আমার সব লেখা ও প্রচেষ্টা ঐক্যের লক্ষে। কাজেই আমার কোনো কথায় বিতর্ক সৃষ্টি না করে সবাই ঐক্যের চিন্তা করবেন- এ দাবি পেশ করছি।
আর আমার যদি কোনো ব্যাখ্যা ভুল মনে হয় তাও জানাবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। কারণ এসব সমালোচনার জন্যই উত্থাপন করছি না সংশোধনই একমাত্র লক্ষ্য। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন।
আরও পড়ুন: ইসলাম শব্দের ধর্ম না, বিশ্বাসের ধর্ম
-আরআর