সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

কওমি মাদরাসা নিয়ে একমুঠো ভাবনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জহির উদ্দিন বাবর
অতিথি কলামিস্ট

কওমি মাদরাসা এখন এদেশের অন্যতম স্বীকৃত শিক্ষাধারা। অপরাপর শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার মতো একটা পর্যায়ে ইতোমধ্যে কওমি মাদরাসা পৌঁছে গেছে। কওমি মাদরাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতির মৌখিক ঘোষণা হয়েছে বছরখানেক আগে, যদিও এখনও তা কার্যকর হয়নি। আশা করা যায়, কোনো না কোনো সময় কার্যকর হবে। সুতরাং কওমি মাদরাসার ধারক-বাহকদের বিষয়টি মাথায় রেখে এই শিক্ষাধারার কাঠামো ও আঙ্গিক পুনর্বিন্যাস করতে হবে।

একটা সময় ছিল, কওমি ধারার শিক্ষাব্যবস্থা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো পরিচালিত হতো। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে টিকে থাকার সংগ্রামে অস্তিত্বের জানান দেয়াই ছিল তখন মুখ্য। মানোন্নয়ন ও সময়োপযোগী চিন্তাধারা বাস্তবায়নের সুযোগ খুব একটা ছিল না। কিন্তু আজ পরিস্থিতি পাল্টেছে।

কওমি শিক্ষার শেকড় এখন অনেক গভীরে প্রোথিত। বিশেষত এ ধারার শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন মহলের তীক্ষ্ম নজরদারি ও গভীর পর্যবেক্ষণের আওতায় রয়েছে। যুগচাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা না নিলে এর গায়ে অযাচিত ও অনাকাঙিক্ষত কালিমা লেগে যেতে পারে। তাই অতীতকে একমাত্র অবলম্বন না করে সময় ও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক পদযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।

কওমি মাদরাসার শিক্ষা কাঠামোতে বর্তমানে অনুসৃত অনেক নীতিমালা ও পদ্ধতিই প্রশংসাযোগ্য। অন্যান্য শিক্ষাধারায় যে বিষয়গুলো অনেকটা অলীক এসবের যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে কওমি ধারায়।

কওমি মাদরাসায় কোনো ভর্তিবাণিজ্য হয় না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্যায্য কোনো অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয় না। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অস্বচ্ছতার প্রমাণ খোঁজে পাওয়া মুশকিল। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো কওমি মাদরাসায় যেভাবে বিবেচনা করা হয় অন্য কোনো শিক্ষাব্যবস্থায় তা আছে বলে আমাদের জানা নেই। অস্বচ্ছল ও দারিদ্র পরিবারের একটি সন্তানও সহজেই কওমি মাদরাসা শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করতে পারে। অক্ষম ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পূর্ণ দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকে।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রয়োজন থেকেও ছাত্রদের প্রয়োজনটাকে বড় করে দেখে। শিক্ষকদের চাহিদার ন্যূনতম পূরণ না হলেও একনিষ্ঠতার সঙ্গে যেভাবে জ্ঞান বিতরণ করে যান তার কোনো নজির চোখে পড়ে না।

সেশনজট ও বিলম্বিত প্রক্রিয়ার অভিশাপ কী জিনিস তা কওমি মাদরাসার ছাত্ররা জানে না। নকলের কোনো ছড়াছড়ি নেই এখানে। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশের কারণে নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষা গ্রহণের অপূর্ব সুযোগ একমাত্র কওমি মাদরাসাতেই রয়েছে। এসব বিষয় চর্চিত হওয়ার না কারণে অনেকে তা জানে না।

তবে সময় ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে কিছু কিছু বিষয়ে কওমি মাদরাসা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে হবে। অনুপযোগী ও দৃষ্টিকটু কিছু বিষয় আজও কওমি ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় বহাল আছে। বছরের শুরুলগ্নে বিষয়গুলো ভাবনায় নিয়ে এলে এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে।

যেমন মাদরাসা হলেই সর্বোচ্চ জামাত দাওরায়ে হাদিস চালু করার ব্যাপক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যাদের সামর্থ্য সীমিত, উপযুক্ত অবকাঠামোর অভাব রয়েছে তারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে না। সর্বোচ্চ ক্লাস চালু করতে পারাকেই সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

অথচ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দিকে তেমন নজর দেয়া হয় না। এভাবে সব মাদরাসাতেই দাওরায়ে হাদিস জামাত চালু না করে যদি নিচের ক্লাসগুলোর লেখাপড়া ও ব্যবস্থাপনার মান বাড়ানোর প্রতি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ মনোযোগী হতেন তাহলে অধিক ফায়দা হতো।

দাওরায়ে হাদিস বা মাস্টার্সমানের ক্লাস চালু করার মতো ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো ও লোকবল অনেক মাদরাসাতেই নেই। আমরা মনে করি, যাদের এ সামর্থ্য নেই তাদের জন্য দাওরায়ে হাদিস জামাত চালু করতে যাওয়া উচিত নয়।

মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের মতো প্রতিষ্ঠান পাইকারি হারে হলে সে ডিগ্রির কোনো মূল্যায়ন থাকে না। একটা সময় ছিল যখন চিন্তা করা হতো একটি ছাত্রকে কোনো রকম দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত পড়িয়ে দিতে পারলে তার দীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যেমন আশঙ্কা থাকে না, তেমনি তার দ্বারা দীনের কিছু না কিছু খেদমত অন্তত হবে। সে পর্যায়টা আজ কওমি মাদরাসা পেরিয়ে এসেছে।

কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতির মৌখিক ঘোষণা যখন চলে এসেছে তখন অপ্রাতিষ্ঠানিক এসব ভাবনার কোনো সুযোগ নেই। এখনকার ভাবনা হতে হবে সময় ও বাস্তবতার আঙ্গিকে, অযৌক্তিক; আবেগের বশবর্তী হয়ে নয়।

দাওরায়ে হাদিস জামাত পর্যন্ত চালু থাকা মাদরাসার সংখ্যা ব্যাপক হয়ে যাওয়ায় এ জামাতে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে অঘোষিত একটা প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। কোন মাদরাসায় দাওরায়ে হাদিসের ছাত্রসংখ্যা কত- এটাই যেন আজ মাদরাসার সফলতা ও ব্যর্থতার মাপকাঠিতে পরিণত হয়ে গেছে।

এজন্য এই ক্লাসের ছাত্রসংখ্যা বাড়াতে ভর্তিপ্রক্রিয়া কিছুটা শিথিল করা হয়। নানান আকর্ষণীয় প্যাকেজের মাধ্যমে ছাত্রদের টেনে আনার একটা অশুভ তৎপরতা ইতোমধ্যে কোনো কোনো মাদরাসা শুরু করেছে।

দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো মাদরাসার নামে অভিযোগ রয়েছে, দাওরায়ে হাদিসের ছাত্রদের অংকটা বড় করে দেখানোর জন্য তারা বিনা শর্তে ব্যাপকহারে ভর্তি করে থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুবিধাভোগী কিছু ছাত্র এক বা একাধিক ক্লাস ডিঙ্গিয়ে সেখানে ভর্তি হয়ে বছর শেষে ‘এবার যারা মাওলানা হলেন’ তালিকায় নিজেদের নাম যুক্ত করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন।

নামধারী এই মাওলানারা সমাজে যখন অপাঙক্তেয় ও অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয় তখন পুরো কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার দিকে ব্যর্থতার ইঙ্গিত করা হয়। এভাবে বদনাম হচ্ছে কওমি মাদরাসার মতো সুচারু ও উৎপাদনশীল একটি শিক্ষাব্যবস্থার। যথাযথ কর্তৃপক্ষ সতর্ক হলেই নামধারী মাওলানাদের দ্বারা এভাবে সমাজের বোঝা ভারী হয়ে ওঠতো না।

কওমি মাদরাসায় ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্রদের ছবির প্রয়োজন হয় না- এ নিয়ম চালু হয়ে আসছে শুরুলগ্ন থেকে। কিন্তু সম্প্রতি প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে কোনো কোনো মাদরাসায় ভর্তির জন্য ছবি বাধ্যতামূলক করেছে। তবে দুই চারটি মাদরাসা বাদে এখনও প্রায় সব মাদরাসায় এ শর্তটি বাধ্যতামূলক নয়।

ভর্তি ফরমের সঙ্গে ছবি সংযোজন না করাতে কিছু ছাত্র জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ আছে। কর্তৃপক্ষের অজান্তেই এক ছাত্রের ইন্টারভিউ অন্য ছাত্রের দ্বারা দিয়ে অনেক অযোগ্য ও ক্লাস ডিঙ্গানো ছাত্র চান্স পেয়ে যাওয়ার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। বিষয়টি বেশি ঘটে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় মাদরাসাগুলোতে।

ছাত্রসংখ্যা বেশি থাকায় কর্তৃপক্ষ টেরও পায় না কার ইন্টারভিউ কে দিল। এর ফলে খালেস দীনি ইলম শিখতে আসা একটি ছাত্র জালিয়াতির কারণে প্রথমেই যেমন তার শিক্ষার উদ্দেশ্যকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল তেমনি অযোগ্য ও অথর্ব একটি ছাত্রকে চান্স দেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হলো।

এজন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনিবার্য প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় ছবি বাধ্যতামূলক করার কোনো বিকল্প নেই।

ইলমের সূতিকাগার দারুল উলূম দেওবন্দে যদি ভর্তির জন্য ছবি বাধ্যতামূলক হয় আমাদের দেশের মাদরাসাগুলোতে হলে দোষ কোথায়?

তাছাড়া তথাকথিত জঙ্গিবাদের একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত কওমি মাদরাসাগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে নিবদ্ধ রয়েছে। ছদ্মবেশী কেউ যদি ছাত্রের অবয়ব ধারণ করে কোনো কওমি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে অসংলগ্ন কোনো কাজের দ্বারা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাধারার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চায় আপনি তা রুখবেন কীভাবে?

এজন্য কওমি মাদরাসাগুলোতে ভর্তির শর্ত হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে), স্থানীয় কমিশনার বা চেয়ারম্যানের নাগরিক সনদপত্র এবং দুই কপি ছবির বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন অত্যন্ত জোরালো হয়ে পড়েছে। এসব ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকলে ছদ্মবেশ ধারণ করে কেউ কওমি মাদরাসাগুলোর ইমেজ ক্ষণ্ন করতে পারবে না।

সাবস্ক্রাইব করুন আওয়ার ইসলাম ইউটিউব চ্যানেল

এক প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আরেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে পূর্বের প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র লাগে। সাধারণ শিক্ষাধারায় এ নিয়মই চলে আসছে। কিন্তু কওমি মাদরাসাগুলোতে সাধারণত এ নিয়ম তেমন অনুসরণ করা হয় না।

অস্থিতিশীল ও ছিটকে মানসিকতার কিছু কিছু ছাত্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মন চাইলেই মাদরাসা পরিবর্তন করে ফেলে। প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেলেও তারা কোনো তোয়াক্কা করে না। এই অস্থিরতার কারণে ছাত্রদের ব্যক্তিগত পড়াশোনায় যেমন বিঘ্ন ঘটে তেমনি হঠাৎ করে কিছুসংখ্যক ছাত্র চলে যাওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানও একটা হোচট খায়।

অশুভ এ প্রবণতা রোধ করার জন্য প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। যৌক্তিক প্রয়োজন ও কারণ ছাড়া যেন কোনো ছাত্র প্রতিষ্ঠান পাল্টাতে না পারে সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান যেমন তৎপর হতে হবে, তেমনি অভিভাবকদেরও সজাগ থাকতে হবে।

ইদানীং কওমি মাদরাসার ছাত্ররা ব্যাপকহারে শহরমুখী বিশেষত ঢাকামুখী হচ্ছে। প্রতি বছর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য ছাত্র এসে ঢাকার মাদরাসাগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো ঢাকা শহরের মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার মান ভালো। গ্রামের মাদরাসাগুলোতে সে শিক্ষা নেই। তাছাড়া এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ এখন ব্যাপকহারে ঢাকামুখী।

যারা গ্রামে থাকেন কিংবা গ্রামে বেড়ে উঠছেন তাদের কাছে ঢাকাকে স্বপ্নপুরীর মতোই মনে হয়। মাদরাসার ছাত্ররাও এর বাইরে নয়। তারাও ভাবে ঢাকা এলেই তাদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত হয়ে যাবে।

অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভাবনা ঠিক আছে। শিক্ষা ও বৈষয়িকতার দিক থেকে ঢাকা শহরের ছাত্ররা অনেক ট্যালেন্ট। এটা পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব। কিন্তু যে ছাত্রটি গ্রামে বা মফস্বল শহরে লেখাপড়া করছে সেও প্রতিভায় কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে তারও ট্যালেন্ট হওয়ার সুযোগ আছে।

এজন্য প্রত্যন্ত গ্রাম-মফস্বল শহরের মাদরাসাগুলোকে লেখাপড়ার মান বাড়ানো এবং ছাত্রদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। অন্তত মেশকাত-দাওরার আগে নিছক উৎসাহ ও কৌতূহলের বশে কোনো ছাত্র সোয়াশ কোটি মানুষের বোঝায় কাতর এই ঢাকা শহরে এসে যেন নাগরিক জীবনে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

গ্রামের মাদরাসাগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যম ছাত্রদের ঢাকামুখী এ প্রবণতা রোধ করা যেতে পারে।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ