সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যেভাবে কাটে আল্লামা আহমদ শফীর ঈদ ও রমজান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি

আল্লামা শাহ আহমদ শফী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে সমান জনপ্রিয়তা, ভক্তি-ভালবাসায় সিক্ত এ মহান আলেমেদীন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারীর সম্মানিত মহাপরিচালক। চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি হাটহাজারী মাদরাসার খেদমত করে যাচ্ছেন। একাধারে তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর। কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশে'র চেয়ারম্যান।

এ মহান আলেমে দীনের রমজান ও ঈদ কিভাবে কাটে তার খোঁজ নিতে কথা হয় হাটহাজারী মাদরাসা ও হুজুরের ঘনিষ্ঠ অনেকের সঙ্গে। তাদের বর্ণনায় উঠে আসে বিখ্যাত এ ব্যক্তিত্বের রমজান ও ঈদ উদযাপনের বিভিন্ন দিক।

জানা যায়, প্রতি বছরের রমজান মাস হাটহাজারী মাদরাসায় কাটাতে পছন্দ করেন আল্লামা আহমদ শফী। যদিও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় রমজান অতিবাহিত করতেন।

তিনি কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, সোহরাওয়ার্দীয়া চার তরিকার খেলাফতপ্রাপ্ত। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তরিকত পিপাসুরা রমজানে তৃষ্ণা মেটাতে চলে আসেন দারুল উলূম হাটহাজারীর খানকায়ে মাদানীতে। কেউ পুরো রমজান, কেউ রমজানের শেষ দশক ব্যয় করেন আল্লামা আহমদ শফীর ইসলাহি মাহফিলে।

আমীরে হেফাজতের শারীরিক অবস্থা ও রমজানের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে ও হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানি বলেন, আব্বাজানের শারীরিক অবস্থা ভালো। তবে কারো হেল্প ছাড়া একা চলতে পারেন না। রমজানে মাদরাসায় থাকেন এবং শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মেহমানদের উদ্দেশে বয়ান করেন।

আল্লামা আহমদ শফীর রমজানের বিশেষ আমল সম্পর্কে তিনি জানান, রমজান কুরআন নাজিলের মাস। আব্বাজান রমজানে কুরআনের তেলাওয়াত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদের তেলাওয়াত করতে বলেন। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো তিনি দেখে দেখে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ জিকিরে সময় দেন। অধিনস্থদের রমজানের যথাযথ মর্যাদা দেয়ার বিশেষ তাগিদ দেন।

হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শফী চার তরীকার খেলাফতপ্রাপ্ত ব্যক্তি। বছরজুড়েই হাটহাজারী মাদরাসায় অবস্থিত খানকায়ে মাদানীতে মুরিদরা আসা-যাওয়া করেন। তবে রমজান মাসের শেষ দশদিন খলিফা ও মুরিদদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। হাটহাজারী মাদরাসার বাইতুল করিমের মতো বিশাল মসজিদের ২তলা পর্যন্ত পূর্ণ হয়ে যায় মেহমানদের উপস্থিতিতে।

খানকায়ে মাদানীর সহকারী যিম্মাদার মুফতি যুবাইর জানান, শায়খের ১২ শ'রও অধিক খলিফা রয়েছে। প্রতি রমজানে ইতিকাফে আগত খলিফা ও মুরিদদের হালত শোনেন। নতুন নতুন সবক দেন। দৈনিক কিছু সময় উপস্থিত লোকদের উদ্দেশে নসিহত করেন।

আল্লামা আহমদ শফীর গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া। এ বয়সেও তিনি ঈদে ও বিশেষ উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি যান। এলাকার জনসাধারণকে সময় দেন।

মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আব্বাজান সাধারণত হাটহাজারীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামায আদায় করেন। সারাদিন স্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বিকেলে বা পরদিন গ্রামের বাড়ি রওয়ানা করেন। আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

খেলার নামে শুরু হলো এ কোন খেলা!

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ