রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.। ইতিহাসবিদ, আরবি ভাষা বিজ্ঞানীর পাশপাশি সীরাত গবেষক হিসেবে আল্লামা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-এর খ্যাতি উপমহাদেশের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার শিক্ষিত মহলে ছড়িয়ে পড়েছিল। আসুন, ভারত মনীষা আলী মিঁয়া নদভী রহ. সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১. আল্লামা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. ১৯১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন।
২. জীবদ্দশায়-ই ২৫টি থিসিস বা পি.এস.ডি হয়েছে তার জীবন ও কর্মের উপর ৷
৩. তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন ৷
৪.তার জীবদ্দশায়-ই পবিত্র শহর মদীনায় তার নামে সড়কের নাম করণ করা হয় ৷
৫ তার লিখিত দুই শতাধিক গ্রন্হ প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যে পৃথিবীর প্রধান প্রধান সকল ভাষায় অনুদিত হয়েছে ৷
৬. তার হাতে কাবা শরীফের চাবী হাতে তুলে দিয়ে বিরল সম্মান জানানো হয়েছিল । নিজ হাতে দরজা খুলে কাবার ভেতরে প্রবেশ করে তিনি মহান রবের শুকুর আদায় করেছেন ৷
৭. ইসলামিক সেন্টার জেনেভা, ইউ এস এ আরবী একাডেমি, লন্ডনের ইসলামিক সেন্টার সহ ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রাণপুরুষ ছিলেন ৷
৮. ইউরোপের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ৷
৯. ছিলেন ভিজিটিং প্রফেসার, রাবেতা আলমে ইসলামীর পুরোধা, রাবেতা আল আদব আর ইসলামী বিশ্ব সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ৷
১০. একেবারে মামুলী বিছানায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর থেকে বাজপেয়ী পর্যন্ত বড় বড় প্রধানমন্ত্রী আর রাজনীতিবিদ তার পাশে বসে পরামর্শ নিতেন ৷
১১. তিনি ভারত সরকারের সম্মান সুচক সব ক‘টি পদক পেয়েছেন ৷
১২. ইসলামের সেবার জন্য ১৯৮০ সালে তিনি মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার লাভ করেন।
১৩. ১৯৯৮ সালে শতাব্দীর এই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বকে আরব আমিরাত সরকার রাজকীয় সংবর্ধনা প্রদান করেন ৷
১৪. উম্মুল মাদারিস ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের আজীবন সভাপতি ছিলেন।
১৫. ভারতের লৌখনো’র বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নদওয়াতুল উলামার প্রধান পরিচালক ছিলেন । তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।
আরও পড়ুন : সন্তানকে ইসলামের সঙ্গে পরিচিত করুন : আবুল হাসান আলী নদভী