সুফিয়ান ফারাবী
সাভার প্রতিনিধি
শুরু হলো রহমতের মাস রমজান। ইফতারে মুড়ি ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। যত মজাদার খাবারই হোক একটু মুড়ি না হলে যেন ইফতার খানিকটা অপূর্ণ থেকে যায়।শুধু ইফতার নয়, হালকা নাস্তার বেলায়ও বাঙালির কাছে মুড়ি বেশ জনপ্রিয় খাবার। গ্রাম থেকে শহর সবখানেই সবার পছন্দের খাবারই মুড়ি।
সাভারের নামাবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় মুড়ি উৎপাদন ও পাইকারি বিক্রির ধুম লেগেছে। মুড়ির এ চাহিদার যোগান দিতে খানিকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা। জমজমাট হয়ে উঠেছে মুড়ি বাজার।
বাদল নামের এক মুড়িব্যবসায়ী বললেন, বছরের অন্যান্য সময় যেখানে এক একজন ব্যবসায়ী মাসে তিন ট্রাক চালের মুড়ি উৎপাদন করেন, সেখানে রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে প্রায় ছয় ট্রাক এসে দাঁড়ায়।
প্রতিটি ট্রাকে চাল আসে ২৮০ থেকে ৩০০ বস্তা এবং প্রতি বস্তায় চাল থাকে ৫০ কেজি করে।তবে মুড়ি উৎপাদনের সময় প্রতি বস্তা চালে ছয় থেকে সাত কেজি চালের মুড়ি কমে যায়।
বাজারে মানভেদে মুড়ি ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা দামে বিক্রি হয়ে থাকে।শুধু সাভারই নয় রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, টাঙ্গাইল, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় এখানকার মুড়ি।
সাধারণত শবে বরাতের পর থেকে রমজানের ১৫ দিন পর্যন্ত মুড়ির চাহিদা বেশি থাকে। এরপর থেকেই তা কমতে শুরু করে।
রমজানের প্রথম ১৫ দিনে মুড়ির ক্রেতা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি বাড়ে সিজনাল মুড়ি বিক্রেতাও। বিভিন্ন কোম্পানিও তাদের প্যাকেটজাত মুড়ির চাহিদা মেটাতে সংগ্রহ করে থাকে এ মুড়ি।
কিন্তু জ্বালানি ও গ্যাসের সমস্যা ও বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চহিদামতো মুড়ি উৎপাদন করতে পারছেন না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে বাজারে মুড়ির যোগান বেশ ভালো থাকলেও রমজানের আগে এর দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।
শহিদুল নামের একজন বলেন, প্রায় সারাবছরই বাসায় মুড়ি খাওয়া হয়। আজ প্রথম রমজান, মুড়ি কিনতে এসেছি। তবে আগের থেকে বাজারে মুড়ির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেশি।
মুড়িতে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, হজমে সাহায্য, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ওজন কমানোসহ বেশ কিছু উপকারিতা থাকাতে মানুষের মধ্যে মুড়ির চাহিদা ব্যাপক। আর তাই এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সকলের সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।
রমজান উপলক্ষ্যে ৩ লক্ষ কুরআন হাদিয়া দেয়ার নির্দেশ
আজকের ইফতার ও সেহরির সময়