আবদুল্লাহ তামিম: কলের জলের তুলনায় মিনারেল ওয়াটার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এ কথা তো সকলেই জানি।
কারণ, এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান। তবে প্রতি দিন দামি মিনারেল ওয়াটারের বোতল কেনা তো সকলের পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে উপায়? উপায় রয়েছে। সামান্য খরচে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন মিনারেল ওয়াটার। কী ভাবে, তা জেনে নিন।
মিনারেল ওয়াটার তৈরি করার জন্য কী কী উপাদান প্রয়োজন? এটি তৈরিতে লাগবে ফিল্টার করা জল -১ লিটার, বেকিং সোডা -চা-চামচের ১/৮, ইপসম সল্ট - চা-চামচের ১/৮ এবং পটাসিয়াম বাইকার্বোনেট - চা-চামচের ১/৮।
তবে ২ লিটার মিনারেল ওয়াটার তৈরি করতে বেকিং সোডা, ইপসম সল্ট এবং পটাসিয়াম বাইকার্বোনেটের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ চা-চামচের ১/৪ করে নিন।
প্রথমে একটি ওয়াটার পিউরিফায়ার দিয়ে কলের জল ফিল্টার করে নিন। এ বার একটি খোলা পাত্রে তা রেখে দিন। তবে জল রাখার আগে খেয়াল রাখবেন, পাত্রটি যেন পরিষ্কার হয়।
এ বার ওই ১ লিটার ফিল্টার করা জলে চা-চামচের ১/৮ বেকিং সোডা দিন।
চিকি়ৎসকদের মতে, হজমের গোলমাল বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মিনারেল ওয়াটার পান করা ভাল। বাতের সমস্যা থাকলেও এটি কাজে আসে।
এ বার ওই মিশ্রণে ইপসম সল্ট বা ম্যাগনেশিয়াম সালফেট দিন। খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ইপসম সল্ট ব্যাকটেরিয়াল অ্যাটাকের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। ব্যস! তৈরি মিনারেল ওয়াটার। এ বার বোতলে ভরে তা ফ্রিজে রেখে দিন।
মিনারেল ওয়াটার শুধুমাত্র বাতের সমস্যা বা হজমের গোলমাল মেটায়, এমনটা নয়। নিয়মিত মিনারেল ওয়াটার পান করলে দেহে ক্যালশিয়ামের অভাবও পূরণ হয়। ফলে ভঙ্গুর নখ, দাঁত এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।
ম্যানেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম থাকায় রক্তচাপের ওঠা-পড়াতেও এটি খুবই কার্যকরী। সেই সঙ্গে এতে সালফেট থাকায় অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে।
আরো পড়ুন- ক্যান্সার প্রতিরোধ বেলের শরবত