আওয়ার ইসলাম : পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনোর আমন্ত্রণে ১৩ মে জাপান যাবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। রোহিঙ্গা ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে তার এ সফর।
১৪ মে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেসহ অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তার দেখা করার কথা আছে।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত আট মাসের মধ্যে এটি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তৃতীয় সাক্ষাতের ঘটনা হবে এবং এর থেকে বোঝা যায় আমাদের সম্পর্ক কত গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রসঙ্গত, উভয় মন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সাইডলাইনে বৈঠক করেছেন। আবার গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন তারো কোনো।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা হবে।’
জানা যায়, রোহিঙ্গা ও উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে আলাপ করতে চায়। অন্যদিকে আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আগামী কয়েকটি নির্বাচনে যেখানে টোকিও অংশগ্রহণ করবে, সেখানে ঢাকার সমর্থন চাইবে জাপান।’
বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে ১১ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং ঢাকা এর একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়।
এ ব্যাপারে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে পাঁচ দফা সমাধান প্রস্তাব করেছিলেন এবং এবারও আমরা এগুলো উপস্থাপন করবো।’
‘জাপান মিয়ানমারের বন্ধু এবং সেখানে টোকিও এর অনেক স্বার্থ আছে। তাই বাংলাদেশ চায়, জাপান তার প্রভাব খাটিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে রাজি করাক মিয়ানমারকে।'
এর আগে মাহমুদ আলী বলেছিলেন, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি তৈরি করে দিতে রাজি আছে জাপান।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ মেয়াদে জাপান নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিল এবং ২০১৪ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঢাকা সফরের সময়ে টোকিওকে সমর্থন জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচন থেকে বাংলাদেশ তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
হোটেল বয়কে বখশিশ দেয়া, কী বলে ইসলাম?
এ কেমন সেলফি বেমো, বৃদ্ধাটি পুড়েই গেল দাউদাউ আগুনে!